admin
- ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ / ১৩৬ Time View
শিমুল হোসেন, কালিগঞ্জ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকুরির অভিযোগ উঠেছে।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, তিনি ২০০৫ সালে অত্র বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। ২০২২ সালে বিদ্যালয়টির মাধ্যমিক স্তর এমপিওভুক্ত হয়। তারপর বিধিমালা অনুযায়ী উপজেলা কমিটি ও জেলা কমিটি কতৃক তদন্তকালে তিনি ২০০৭ সালের”রয়েল ইউনিভার্সিটির”একটি বি.এড সার্টিফিকেট প্রদর্শন করেন। সে মোতাবেক প্রধান শিক্ষক তার বেতন-ভাতার জন্য তিন তিন বার কাগজপত্র প্রেরন করেন। কিন্তু তার বি.এড সার্টিফিকেট সঠিক না হওয়ার কারনে রিজেক্ট করা হয়। সর্বশেষে জাল সাটিফিকেট পাঠানোর অপরাধে সহকারী প্রদান শিক্ষক জালাল উদ্দীনের বেতন -ভাতা বন্ধ করে দেয়ার জন্য ডি.ডি অফিস থেকে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে বলা হয়।
গত ৫ আগস্টের পর তিনি কালো তালিকা ভুক্ত “দি কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি “থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পুণরায় একটি জাল সাটিফিকেট সংগ্রহ করে প্রধান শিক্ষক সহ স্কুলের সকল শিক্ষকদের নিকট বেতন-ভাতা করানোর লক্ষ্যে কাগজপত্র পাঠানোর জন্য ধর্ণা ধরছেন। বিষয়টি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে ব্যাপক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। সুধীমহল অনতিবিলম্বে জাল ও ভূয়া সার্টিফিকেটধারী শিক্ষক মোঃ জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকুরী হতে বহিষ্কার করার দাবী জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের তদন্ত চলছে। এ কারণে তিনি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন এবং বিভিন্নভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।