বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দোয়া ও আলোচনা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ৬ বছরের শি’শুকে ধ’র্ষ’ণে’র অভিযোগ কালিগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত আয়েনউদ্দীন মহিলা আলিম মাদ্রাসায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের সমাধিতে শার্শা উপজেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধা গোবরদাড়ি জোড়দিয়া স্কুল এন্ড কলেজে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত পাটকেলঘাটার তৈলকুপী মারকাযুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল তালায় আধ্যাত্মিক সাধক এজাহার আলী মারফতি ফকিরের ওরছ শরীফের উদ্বোধন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারকে সংবর্ধনা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি পুলিশ সুপারের শ্রদ্ধা

সুন্দরবন দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি, অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল সুন্দরবন। ২০০২ সাল থেকে প্রতিবছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় জেলায় পালন করা হয় ‘সুন্দরবন দিবস’।

বিগত বছরের ন্যায় এবারও খুলনায় বিভাগীয় পর্যায়ে সুন্দরবন দিবস পালন হচ্ছে। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন ৫টি জেলার ১৭টি উপজেলায় যুব ফোরাম এ বছর সুন্দরবন দিবস পালন করছে।

তবে ২৩ বছরেও জাতীয়ভাবে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনে সরকারের সাড়া মেলেনি। সুন্দরবন দিবস পালনের আয়োজকরা সম্মেলন থেকেই সরকারের কাছে জাতীয়ভাবে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনের দাবি জানিয়ে আসছেন।

আয়োজকরা বলেছেন, জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস পালন করা হলে সুন্দরবনের গৌরব বৃদ্ধি পাবে এবং তা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। আর গৌরব বৃদ্ধি পেলে সুন্দরবন সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।

জানা গেছে, ১৮৭৮ সালে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘের ইউনেস্কো কমিশন ১৯৯৭ সালে সুন্দরবনের তিনটি অভয়ারণ্যকে বিশ্বঐতিহ্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন ‘সুন্দরবন ঘোষণার’ মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। রূপান্তর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাপা যৌথভাবে ওই সম্মেলনের আয়োজন করে। ওই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং জাতীয়ভাবে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।

বন বিভাগের তথ্যমতে, সুন্দরবনের মোট আয়তন ছয় হাজার ১৭ বর্গকিলেমিটার। এর মধ্যে স্থলভাগের পরিমাণ চার হাজার ১৪৩ বর্গ কিলোমিটার এবং জলভাগের পরিমাণ এক হাজার ৮৭৩ বর্গ কিলোমিটার। সুন্দরবনে ৫২৮ প্রজাতি উদ্ভিদ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার ১২৫টি, পাখি ৩৫৫ প্রজাতি, উভচর ১৪ প্রজাতি, বন্যশুকুর ৪৭ হাজার ৫১৫টি, গুইশাপ ২৫ হাজার ১২৫টি, লোনাপানির কুমির ১৪০টি, ইরাবতী ডলফিন ৪৫১টি, বন্যপ্রণী ৫০৫ প্রজাতি, সরীসৃপ ৮৭ প্রজাতি, স্তন্যপায়ী ৪৯ প্রজাতি, হরিণ এক লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪টি, সজারু ১২ হাজার ২৪১টি, গাঙ্গেয় ডলফিন ২২৫টি এবং  ২১০ প্রজাতির সাদামাছ রয়েছে।

সুন্দরবনের প্রধান বনজদ্রব্য হচ্ছে—সুন্দরীগাছ,পশুরগাছ, গেওয়াগাছ, ধুন্দুলগাছ ও কাকড়া গাছ। এছাড়া গোলপাতা, হেতাল, ছন, মধু ইত্যাদি সুন্দরবনে রয়েছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্টটি শেয়ার করুন

©All rights reserved© SatkhiraVision.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com