শনিবার, ১৪ Jun ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
মা/দক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় হা/ম/লা! প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন সাতক্ষীরায় জামায়াতের রুকন প্রার্থী শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত ব্রহ্মরাজপুরে ইমামদের ঈদ পূণর্মিলন ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা তালায় মানব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ঈদ অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব আ.লীগ নেতা শাহাবুদ্দিন আজমকে গোপালগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর ধুলিহর ব্রহ্মরাজপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঈদ পুণর্মিলনী খালেদা জিয়ার জন্য ‘কালো মানিক’ নিয়ে ঢাকায় ভক্ত সাতক্ষীরার ৩৬ শহীদ পরিবারের মাঝে জামায়াতের উপহার বিতরণ ৩৫০জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মাঝে ঈদ সামগ্রী তুলে দিলেন গোপালগঞ্জের ডিসি

আশাশুনির চাপড়া বেড়ীবাঁধে আবারও ভয়াবহ ভাঙ্গন

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের মধ্যম চাপড়ায় নদীর বাঁধে আবারও ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নতুন করে ২ দিনে ১০ হাত বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ২টি বাড়ি বিধ্বস্থ ও ৮টি বাড়ি ভাঙ্গনের হাতছানিতে হুমকী গ্রস্থ হয়ে পড়েছে। প্রশাসন ও পাউবো জনদাবী উপেক্ষা করায় আজকের এই পরিণতির সৃষ্টি হয়েছে বলে ভুক্তভোগিরা দাবী করেছেন। আশাশুনি সদর ও বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের মধ্যস্থল দিয়ে মরিচ্চাপ নদী প্রবাহিত। নদীর প্রখর স্রোতে চাপড়ার পাড়ে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে শত শত ঘরবাড়ি, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা নদী গর্ভে চলে গেছে। আশাশুনির পাড়ে জেগে উঠেছে বিঘার বিঘার বিঘা জমি। ২০২১ সালে নদী খনন শুরু হলে অন্যান্য এলাকায় সিএস, এসএ ম্যাপ অনুযায়ী মোটামুটি সহনশীল ভাবে নদী খনন কাজ চলে আসলেও চাপড়ার পূর্বপাড়ায় সে নিয়মকে তুয়াক্কা না করে ভাঙ্গন কবলিত নদীকে নদী হিসাবে অটুট রাখার মাধ্যমে গ্রামকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ফলে দিনের পর দিন নতুন নতুন এলাকা ভেঙ্গে যাচ্ছে। নতুন নতুন বাড়ি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এলাকার মানুষ ও ভাঙ্গনের শিকার শত শত নারী পুরুষ প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। ইউএনও ও ডিসি সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন,মানববন্ধন,সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন গ্রামবাসী। ইউএনও,ডিসি মহোদয়সহ পাউবোর কর্মকর্তাবৃন্দ অনেকবার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করা হয়নি। অন্যদিকে খনন কাজ অব্যাহত রাখায় নতুন নতুন এলাকায় ভাঙ্গন,ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে মনিরুল ইসলাম ও মাজেদ সরদারের বসত ঘর নদীতে চলে গেছে। শাহিনুর ইসলাম,শফিকুল ইসলাম,মফিজুল ইসলাম,মিঠু, মোহাম্মদ আলী,পল্টু, জাকাত ও রমজান আলীর বসতঘর,ল্যাট্রিন,গোয়ালঘর,পানির ট্যাংকি হুমকিতে রয়েছে। গত ২ দিনে ১০ হাত এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অনেক গাছগাছালি নদীতে পড়েছে। ৩০ হাত নদীর গভীরতার পানির প্রখর স্রোতে এলাকার মানুষের হৃদয়কে নির্মম আঘাতে জর্জরিত করলেও সরকারি কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকারীদের হৃদয়ে দরদ আনতে পারছেনা।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্টটি শেয়ার করুন

©All rights reserved© SatkhiraVision.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com