বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার ঐতিহ্য পিঠাপুলির সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা কলেজে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) পিঠা উৎসব হয়েছে।
বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের হাতে তৈরি হরেক রকমের পিঠা নিয়ে হাজির হন শিক্ষার্থীরা। উৎসবে মানুষের ঢল নামে। তারুণ্যের মেলা উপলক্ষে ঝাউডাঙ্গা কলেজে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
ঝাউডাঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্তে উৎসবের উদ্বোধন করেন অত্র কলেজের সভাপতি এ্যাডভোকেট আলহাজ্ব মোঃ মহিতুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ, পফেসর ইকবল হোসেন, অত্র কলেজের সহকারী অধ্যাপক পরিমল কুমার ঘোষ, জেসমিন নাহার, আব্দুল মান্নান, আরশাফুজ্জামান বাবলু, বিলকিস আক্তার মজুমদার, কনক কুমার ঘোষ, আনোয়ারুল ইসলাম, কামাল হোসেন, অহিদুজ্জামান লাভলু, শওকত হোসেন, এসএম আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
কলেজের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের ১৯টি স্টলে শোভা পায় হরেক রকমের পিঠা। এরমধ্যে রয়েছে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধচিতই, ছিট পিঠা, দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তিলকুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুরি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠা, মালাই পিঠা, মালপোয়া, পাকন পিঠা, ঝাল পিঠা ইত্যাদি। এছাড়াও উৎসবে পিঠা নিয়ে অংশ গ্রহনকারিদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করা হয়।
কলেজের শিক্ষার্থী সামিহা রহমান জানান, পিঠা খাওয়ার স্মৃতি সবারই কম বেশি রয়েছে। আরেক শিক্ষার্থী সালমান হোসেন জানান, এক সময় শুধু গ্রামের মানুষই পিঠা খেত। শহুরে ব্যস্ততার কারণে পিঠার স্বাদ নিতে নগরবাসীদের কেউ গ্রামে গিয়ে পিঠা খেয়ে আসতো। কিন্তু এখন সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে। এখন গ্রামের মতো শহরেও শীতের সব ধরনের পিঠা পাওয়া যায়।
ঝাউডাঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমান সাতক্ষীরা নিউজকে বলেন, আমাদের দেশে বছরের বিভিন্ন ঋতুতে পিঠা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এছাড়া বাড়িতে অতিথি এলে কম করে হলেও দু-তিন পদের পিঠা খাওয়া গ্রামবাংলার মানুষের ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। কালের বিবর্তনে এ ঐতিহ্য ম্লান হয়ে আসছে।