বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের ৬ বছর বয়সী সেই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে ।
শিশুটির মা বাদী হয়ে মসজিদের ইমাম হাফেজ আব্দুল্লাহ সরদারকে আসামী করে সোমবার(২৭ জানুয়ারী) সাতক্ষীরা থানায় মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত হাফেজ আব্দুল্লাহ সরদার সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের আনার উদ্দীন সরদারের ছেলে। তিনি পার্শ্ববতী ধুলিহর ইউনিয়নের একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন। এছাড়া হাফেজ আব্দুল্লাহ সরদার ওই শিশুর প্রতিবেশী চাচা।
এর আগে গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে ঘরে ডেকে পা ও মুখ বেঁধে হাফেজ আব্দুল্লাহ সরদার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন শিশুর মা। পরবর্তীতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরেছে শিশুটি।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালে ওই শিশুর মা বলেন, ‘স্কুল থেকে ফেরার পর আমার মেয়ে পাশের বাড়ির আব্দুল্লাহদের বাড়িতে খেলতে যায়। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আব্দুল্লাহ তাকে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে ঘরের ভেতর ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমার মেয়ের মুখ ও পা বেঁধে ধর্ষণ করে। দীর্ঘক্ষণ মেয়েকে না পেয়ে মেয়েকে খুঁজতে আমি আব্দুল্লাহদের বাড়িতে যায়। এরপর দরজা খুলতেই মেয়ের মুখ ও পা বাধা এবং বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পাই। আব্দুল্লাহকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পাই। তখন আব্দুল্লাহ খাটের পর থেকে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরে বলে ‘আমাকে মাফ করে দাও ভাবি’। তখন আমি চিৎকার দিলে পাশের এক জা ছুটে আসে। তখন আমি একটু সাহস পাই। এরপর বিষয়টি আবদুল্লার বাবা-মাকে জানালে তারা আমাকে হুমকি দেয়। বিকালে আমার স্বামী বাড়িতে আসলে স্থানীয়দের কাছে পরামর্শ গ্রহণ করি এবং মেয়েকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।’
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা আরশাদ আলী, রহিমা খাতুনসহ অনেকেই বলেন, ‘একটা শিশুকে যিনি ধর্ষণ করতে পারে তিনি মানুষ হতে পারেননা। আব্দুল্লাহ সরদার যদি অপরাধী হয় তবে তাকে অনতিবিলম্বে আমরা গ্রেপ্ততারের দাবী জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ ও সঠিক তদন্তের দাবী জানাচ্ছি।’
তবে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ সরদারের মা বলেন, ‘আমার ছেলে হাফেজ। সে এই ধরণের কাজ কখনও করতে পারেনা। আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করছি।’
সাতক্ষীরা থানার ওসি সামিনুল হক বলেন, ‘ওই ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে আব্দুল্লাহ সরদারকে আসামী করে সোমবার(২৭ জানুয়ারী) থানায় মামলা করেছেন। আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য ৩/৪ টি টিম কাজ করছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’