বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
দুমকীতে মাদকের রমরমা কারবার! ঝুঁকছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তারুণ্য মেলায় উদীচীর ব্যানার খুলে অগ্নিসংযোগ সাতক্ষীরায় প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ সাতক্ষীরা সিটি কলেজের বহিস্কৃত অধ্যক্ষ শিহাব উদ্দিন রিমান্ডে ঝাউডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা আজমল উদ্দিন হ’ত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মতবিনিময় জেলা আইনজীবী সহকারী রিপোর্টার্স ইউনিটের মাসিক সভা সাতক্ষীরায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে আইনজীবী সহকারী সমিতির ফুলেল শুভেচ্ছা  সাতক্ষীরা সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আশাশুনির প্রতাপনগরে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

মেডিকেলে চান্স পেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন সবজি বিক্রেতার মেয়ে নাদিরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ার বোয়ালিয়া গ্রামের ক্ষুদ্র সবজি বিক্রেতা আবু বক্কারের মেয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় নাদিরা খাতুন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। তার মেধাক্রম ৩৪১০। চরম দারিদ্র্যকে জয় করে নাদিরা খাতুনের এমন তাক লাগানো সাফল্যে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি ও তার পরিবার। তবে বাবার আর্থিক দূরাবস্থার কারণে মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় নাদিরা খাতুন ও তার পরিবার
নাদিরা খাতুন উপজেলার বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ২০২৪ সালে এইচএসসি পাশ করে।
শিক্ষা জীবনে দারিদ্রতাকে জয় করে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি সকল পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। নাদিরা খাতুন পূর্ব বোয়ালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া ইউনাইটেড হাইস্কুল ও বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন।
নাদিরা খাতুন বলেন, তার লক্ষ্য অসহায়, দুস্থ ও অবহেলিত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা।
নাদিরার বাবা ক্ষুদ্র সবজি বিক্রেতা আবু বক্কার বলেন, ‘বাড়ির পাশে ছোট্ট একটি দোকানে বসে তড়িতরকারি বিক্রি করি। এতে কোনরকম সংসার চলে। মেয়েরা মেধাবী হওয়ায় লেখাপড়া করাতে কখনো কার্পণ্য করিনি।’
তিনি আরো বলেন, নাদিরা খাতুন চার মেয়ের তৃতীয়। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। দ্বিতীয় মেয়ে যশোর এমএম কলেজে বোটানিকে অনার্সে অধ্যায়নরত এবং ছোট মেয়ে বোয়ালিয়া ইউনাইটেড হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।’ নাদিরা এ বছর মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তবে দুশ্চিন্তায় আছি, তার লেখাপড়ার খরচ জোগাতে পারবো কিনা।’
বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন বলেন, ‘তার কলেজের সদ্য প্রাক্তন ছাত্রী নাদিরা খাতুন অত্যন্ত মেধাবী। নাদিরার বাবা একজন ক্ষুদ্র সবজি ব্যবসায়ী। তার ভিটেবাড়ি ছাড়া তেমন কোনো জমি জায়গাও নাই। তবে তার চার মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।’

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্টটি শেয়ার করুন

©All rights reserved© SatkhiraVision.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com