নাদিরা খাতুন উপজেলার বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ২০২৪ সালে এইচএসসি পাশ করে।
শিক্ষা জীবনে দারিদ্রতাকে জয় করে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি সকল পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। নাদিরা খাতুন পূর্ব বোয়ালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া ইউনাইটেড হাইস্কুল ও বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন।
নাদিরা খাতুন বলেন, তার লক্ষ্য অসহায়, দুস্থ ও অবহেলিত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা।
নাদিরার বাবা ক্ষুদ্র সবজি বিক্রেতা আবু বক্কার বলেন, ‘বাড়ির পাশে ছোট্ট একটি দোকানে বসে তড়িতরকারি বিক্রি করি। এতে কোনরকম সংসার চলে। মেয়েরা মেধাবী হওয়ায় লেখাপড়া করাতে কখনো কার্পণ্য করিনি।’
তিনি আরো বলেন, নাদিরা খাতুন চার মেয়ের তৃতীয়। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। দ্বিতীয় মেয়ে যশোর এমএম কলেজে বোটানিকে অনার্সে অধ্যায়নরত এবং ছোট মেয়ে বোয়ালিয়া ইউনাইটেড হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।’ নাদিরা এ বছর মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তবে দুশ্চিন্তায় আছি, তার লেখাপড়ার খরচ জোগাতে পারবো কিনা।’
বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন বলেন, ‘তার কলেজের সদ্য প্রাক্তন ছাত্রী নাদিরা খাতুন অত্যন্ত মেধাবী। নাদিরার বাবা একজন ক্ষুদ্র সবজি ব্যবসায়ী। তার ভিটেবাড়ি ছাড়া তেমন কোনো জমি জায়গাও নাই। তবে তার চার মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।’