এব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে ডেপুটি পোস্ট মাষ্টার জেনারেল খুলনা বিভাগ,খুলনা বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন জমি ও দোকান ঘরের মালিক মোঃ আহছান উল্লাহ। দোকান মালিক চাম্পাফুল গ্রামের মৃত আঃ কাদেরের ছেলে আহছান উল্লাহ ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর দোকান ঘর ফেরত পেতে ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
তিনি জানান, ধান্যহাটি মৌজায় ১১৫ নং বিআরএস খতিয়ান ও ১০৬৭ নং নামজারী খতিয়ানে ২১০/৯১৩ দাগে আমাদের পিতার ৯৩ শতক জমির মধ্যে আমাদের ৪ ভাইবোনকে দেড় শতক জমি দানপত্র করে হস্তান্তর করেন। দলিল নং ৪৮৮৫, তাং ২৬/১০/৯৭। জমিতে আমাদের ৪ ভাইবোনের ৪টি দোকান। আমার দোকানে পোস্ট অফিস পরিচালনার সুযোগ দেই। আমি দোকানে ব্যবসা করার জন্য অফিস সরিয়ে নিতে বললে পোস্ট মাষ্টার তালবাহনা করতে থাকেন। তখন ১১/০১/২৩ তাং জেলা প্রশাসক বরাবর দখল উচ্ছেদের আবেদন করলে এসি (ল্যান্ড) আশাশুনিতে দেখতে বলেন। এসিল্যান্ডের নির্দেশে আশাশুনি সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ৩/৪/২৩ তাং প্রতিবেদন প্রদান করেন। যাতে আবেদরকারীর দাবী গ্রহনযোগ্য ও শাখা পোষ্ট অফিসের স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখা যায়না বলে উল্লেখ করেন। পোষ্ট অফিসের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সুরহ করার কথা বলা হয়। কিন্তু ডাক বিভাগ ও পোস্ট মাষ্টার কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়ে শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অভিযোগ করলে বাদী বিবাদীকে নিয়ে বসে কাগজপত্র দেখে সিদ্ধান্ত দেন যে, পোষ্ট অফিসের স্থানের সম্পত্তি বাদীর হক সম্পত্তি। যাহা বিবাদী দখলভুক্ত রেখে অফিস পরিচালনা করছে। এতকিছুর পরও বিবাদী জবর দখল ছেড়ে না দেওয়ায় জমির প্রকৃত মালিক দোকান ঘর ফেরত পেতে ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল খুলনা বিভাগ খুলনা বরাবর ১৯ ডিসেম্বর আবেদন করেছেন। অসহায় দোকান মালিক দীর্ঘকাল জবর দখলকারীর হাত থেকে রেহাই পায়নি। এব্যাপারে তড়িত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জোর দাবী জানান তিনি। এ ব্যাপারে শাখা পোষ্ট মাষ্টারের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল করা হলেও সম্ভব হয়নি।