শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন
সাকিব হোসেন, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে এক কলেজছাত্রী ও এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে তাঁদের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
মারা যাওয়া দুজন হলেন পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়া মনি আক্তার (১৮) এবং পটুয়াখালী পুলিশ লাইনসে কর্মরত কনস্টেবল তৃষা বিশ্বাস (২২)। তাঁদের মধ্যে রিয়া মণি দশমিনা উপজেলার মনিরুল ইসলামের মেয়ে এবং তৃষা বিশ্বাস মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামের আনন্দ বৈদ্যের স্ত্রী। আনন্দ বৈদ্য বরিশাল মহানগর পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেনপটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোদাচ্ছের বিল্লাহ বলেন, আজ সকাল নয়টার দিকে রিয়া মণি আক্তারের রুমমেটরা নাশতা করতে হোস্টেলের একটি কক্ষ থেকে ডাইনিংয়ে যান। সাড়ে নয়টার দিকে তাঁরা কক্ষে ফিরে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রিয়া মণির লাশ ঝুলতে দেখেন। পরে তাঁরা বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে এসে লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নাহিয়ান নামের এক যুবক রিয়া মণিকে নিজের স্ত্রী দাবি করলে পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তৃষা বিশ্বাস পটুয়াখালী পুলিশ লাইনসের তৃতীয় তলার ৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন। আজ রোববার সকালে তাঁর সহকর্মী অর্পণা ও ফাতেমা দায়িত্ব পালন করতে গেলেও তৃষা যাননি। পরে তাঁর আরেক সহকর্মী ইতি রানী মালো তাঁকে ডাকতে ওই কক্ষে যান। এ সময় তিনি ওই কক্ষের একটি বৈদ্যুতিক ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তৃষার লাশ ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নুরুল আক্তার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমাদ মাঈনুল হাসানের উপস্থিতিতে তৃষার লাশ বৈদ্যুতিক পাখা থেকে নামানো হয়। পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ বলেন, তৃষা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালী থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, কলেজছাত্রী রিয়া মণির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশমিনা উপজেরার নাহিয়ান নামে এক যুবককে থানায় আনা হয়েছে। রিয়া মণি ও পুলিশ কনস্টেবল তৃষা বিশ্বাসের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।