শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
সাকিব হোসেন, পটুয়াখালী: পটুয়াখালী পায়রাকুঞ্চ সড়কে অতিরিক্ত পন্য নিয়ে ট্রাক চলাচল করায় ঝুঁকিতে থাকা বেইলি ব্রীজ ও অধিকপন্য পরিবহনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক নিযে সংবাদ প্রকাশের পর এবার সরাসরি অভিযানে নেমেছে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জের মধ্যকার পায়রাকুঞ্জ ফেরি পার হওয়ার সময় তিনটি ট্রাক আটক করা হয়। পরে এসব ট্রাক লেবুখালী পায়রা সেতুর ওয়েট স্কেলে নিয়ে পরিমাপ করলে নির্ধারিত ওজনের অনেক বেশি পন্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখায় পায়রাকুঞ্জ ফেরির পশ্চিম পাশে পারপারের অপেক্ষায় থাকা চারটি ট্রাক আটক করা হয়।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জামিল আক্তার লিমন বলেন, ‘পটুয়াখালীর পায়রা সেতুতে ওয়েট স্ক্রেল থাকায় অধিক পন্যবাহী ট্রাক গুলো পটুয়াখালী মির্জগঞ্জ এর বিকল্প পথে চলাচল করে। ফলে আঞ্চলিক এই সকড়টি যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি এই সড়কে বেশ কয়েকটি বেইলি সেতু থাকায় সেগুলো ঝুঁকির মধ্যে পরেছে। পাঁচ টনের অধিক পন্য নিয়ে যানবাহন চলাচল না করার জন্য আমরা সাইনবোর্ড দিলেও রাতের আধাঁরে অধিক পন্য নিয়ে এসব যানবাহন চলাচল করে। বৃহস্পতিবার রাতে আমি নিজেই এই সড়কে অবস্থান নিয়ে দেখতে পাই পন্য নিয়ে ট্রাক চলাচল করছে, এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতায় তিনটি ট্রাক থামিয়ে তাদেরকে পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাট থেকে লেবুখালী পায়রা সেতুর ওয়েট স্কেলে নিয়ে দেখা যায় প্রতিটি ট্রাকে ২২০০০ কেজি করে পন্য পরিহনের নিয়ম থাকলেও একেকটি ট্রাকে ২৮৫৮০ কেজি, ২৯৪৮০ কেজি এবং ২৭০০০ কেজি করে পন্য বহন করছে। এদিন রাতে পায়রাকুঞ্জ ফেরি চলাচল বন্ধ করে রাখলে ফেরিঘাটের পশ্চিম পাড়ে পাথর বহনকারী আরও চারটি ট্রাক আটকা পরে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য এ বিষয় জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই।’
এ ঘটনায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমানের নেতৃত্বে শুক্রবার সকালে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে লেবুখালী পাযরা সেতুতে আটক তিনটি ট্রাককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া মির্জাগঞ্জে আটকা পরা চারটি ট্রাকের মধ্যে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন করায় মির্জাগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তন্ময় হাওলাদারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচানা করা হয়। এ সময় ৩টি ট্রাককে সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা জরিমানার মামলা দেয়া হয়েছে এবং একটি ট্রাকের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস না থাকায় মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, সড়কে চলাচলকারী ট্রাক গুলো অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনের ফলে সড়ক গুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিকল্প রুট হিসেবে তারা মির্জাগঞ্জ ফেরি ব্যবহার করছে। এ নিয়ে গত আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এবং উন্নয়ন কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। অতিরিক্ত পন্য পরিবহন বন্ধে জেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।