বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
দুমকীতে মাদকের রমরমা কারবার! ঝুঁকছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তারুণ্য মেলায় উদীচীর ব্যানার খুলে অগ্নিসংযোগ সাতক্ষীরায় প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ সাতক্ষীরা সিটি কলেজের বহিস্কৃত অধ্যক্ষ শিহাব উদ্দিন রিমান্ডে ঝাউডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা আজমল উদ্দিন হ’ত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মতবিনিময় জেলা আইনজীবী সহকারী রিপোর্টার্স ইউনিটের মাসিক সভা সাতক্ষীরায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে আইনজীবী সহকারী সমিতির ফুলেল শুভেচ্ছা  সাতক্ষীরা সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আশাশুনির প্রতাপনগরে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

শ্যামনগরে হরিণ শিকার রোধকল্পে সচেতনতা বিষয়ক সভা

ইসমাইল হোসেন, মুন্সিগঞ্জ: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে হরিণ শিকার রোধকল্পে সচেতনতা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন ও কৈখালী ফরেস্ট স্টেশনের ব্যবস্থাপনায় ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জি এম ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে,
কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা সোলায়মানের সঞ্চালনায়।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল, সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা এবিএম হাবিবুল ইসলাম। সার্জেন্ট আল মামুন, কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা একে এম আব্দুস সুলতান, চুনকুড়ির টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বজল মুখার্জি, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সভাপতি বেলাল হোসেন, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (প্যানেল চেয়ারম্যান ২) আব্দুল জলিল, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জামায়াতের আমির আবুল হোসেন, সাবেক আমির আব্দুল রাজ্জাক, টাইগার টিমের সঞ্জিত কুমার মন্ডল, বিএনপি নেতা আমির হামজা, সাবেক মেম্বার ফজলু সহ স্থানীয় জেলে বাওয়ালি প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মায়ের মতো সুন্দরবনকে বাঁচাতে হলে সুন্দরবনের বাঘ ও হরিণ শিকার বন্ধ করতে হবে, বন বিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকা জনগণকে বন বিভাগকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে। তথ্য দাদাকে পুরস্কৃত করা হবে, সুন্দরবনের ভিত থেকে হরিণ শিকারিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ হাজার টাকা এবং লোকালয় থেকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করা হবে এবং তথ্যদাতার পরিচয় গোপন থাকবে। হরিণ শিকারের ফলে সুন্দরবনে যেমন হরিণ কমে যাবে তেমনি খাবারের অভাবে বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করবে। আমাদের সকলের উচিৎ হরিণ শিকার না করা। হরিণ শিকারীদের কঠিন আইনের আওয়তায় এনে শাস্তি প্রদান করতে হবে। এবং আমাদের সকলের উচিৎ হরিণের মাংস ক্রয় না করা। হরিণের মাংস ক্রয় না করলে চোরা শিকারীরা হরিণ মারা বন্ধ করে দেবে। কারণ বেচতে না পারলে হরিণ মেরে কি করবে। সকলের উচিৎ কাউকে হরিণ শিকার করতে দেখলে সাথে সাথে প্রশাসনকে জানানো। এছাড়াও সুন্দরবনে যখন বনদস্যু ছিলো না তখন বাঘের সংখ্যা বেড়েছিলো কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে সুন্দরবনে নতুন করে বনদস্যু প্রবেশ করায় বাঘের সংখ্যা আবার ও কমে যাবে বলে মনে হচ্ছে। সুন্দরবন থেকে বনদস্যু মুক্ত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্টটি শেয়ার করুন

©All rights reserved© SatkhiraVision.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com