রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুর একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে পতাকা বৈঠকে আগামী ১৫ জানুয়ারি উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক যৌথ সার্ভের পর বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১০২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার রমেশ কুমার।
পতাকা বৈঠকের পর ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার আফজাল হোসেন বলেন, লক্ষীদাঁড়ী গ্রামের নজরুল ইসলামের দুই ছেলে আমাদের জমির বিরোধের বিষয়টি জানালে গতকাল শনিবার তাৎক্ষণিক আমরা বিএসএফ’র কোম্পানী পর্যায়ে কথা বলি। সেখানে উভয়পক্ষের ম্যাপ দেখাদেখি করা হয় এবং ১০ গজ জমি বাদে অন্য জমি সংক্রান্ত বিষয় সমাধান হয়। আজ(রোববার) ওই একই বিষয় নিয়ে ব্যাটেলিয়ান পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়ান অধিবায়ক লে. কর্ণেল আশরাফুল হক বলেন, সীমানা বরাবর উভয়পক্ষের কৃষকদের চাষাবাদকৃত জমি নিয়ে অনেক সময় কনফিউশন বা সন্দেহ দেখা দেয়। গতকাল(শনিবার) এমন একটি সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের ভোমরা ও ঘোজাডাঙ্গা কোম্পানি কমান্ডার বিষয়টি সমাধান করেছেন। যেখানে উভয় দেশেই চাষাবাদ চালু রাখা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র ১০ গজের মত জায়গা সন্দেহজনক হওয়ায় সেখানে কোনপক্ষই চাষাবাদ করবেনা বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারী উভয় দেশের সার্ভেয়ারদের উপস্থিতিতে জয়েন্ট সার্ভে হবে। সেদিন বিষয়টি সমাধান হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা বিএসএফ’র সাথে খুব ভাল আন্ডেস্টান্ডিং এ আছি। বাট একই সাথে আমরা দূঢ় আছি। বাংলাদেশের ভূখন্ড রক্ষার জন্য বিজিবি বদ্ধপরিকর। সীমান্তে উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা করে বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে চলমান সোহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।’