শুক্রবার, ১১ Jul ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক সংবর্ধনা দিলো সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবির ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের নির্বাচন কেন্দ্র পরিচালক ও পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ তারেক রহমানের নির্দেশে সাতক্ষীরায় পানিবন্ধী ১৩০ পরিবারের মাঝে বিএনপির খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সাতক্ষীরায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা সাংবাদিক গাজী মোক্তারের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা রিপোর্টাস ক্লাবের শোক জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির দাবীতে লাবসায় স্থানীয়দের বি’ক্ষো’ভ পটুয়াখালীর দুমকিতে টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, জনজীবন বিপর্যস্ত গোপালগঞ্জে দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রের গো’প’না’ঙ্গে আ’ঘা’ত ও চা’কু দিয়ে ক’র্ত’নে’র হু’ম’কি’র অভিযোগ গোপালগঞ্জে ভালো কাজের স্বীকৃতি পেলেন ডিএসবির এএসআই মনির শ্যামনগরে ‘সুন্দরবন প্রজেক্ট’র বিদ্যুতের তারে প্রাণ গেল বৃদ্ধার!

সবকিছু থাকতেও নদীর পাড়ে আশ্রয়

নিজস্ব প্রতিনিধি: আমার সবকিছু আছে বাবা, সব থাকতেও আমি বেতনা নদীর পাড়ে স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় বসবাস করছি। এক বেলা জোটে অন্য বেলা জোটে না তারপরে তীব্র শীত একই ঘরের মধ্যে খাওয়া দাওয়া থাকা রান্না চলে আমাদের। আমার ভাইয়েরা আমাকে অন্যায় ভাবে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। জমি জমা দখল করে নিয়েছে। কার কাছে বিচার চাইবো? কেউ আমাদের দেখেনা। কেউ আমাদের কথা শোনে না। এমনি কথা কেঁদে কেঁদে বলছিলেন তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার জুজখোলা গ্রামের বৃদ্ধ মোমিন উদ্দীন।

তিনি বলেন, তালা উপজেলার জুজখোলা মৌজার ১২৮১,১২৮৩,১৩৮০দাগের ১একর ২৩শতক পৈত্রিক জমির মধ্যে ৪১শতক জমির মালিক ছিলেন। কিন্তু তার চাচাতো ভাই সিরাজুল রেজাউল শাহাজান, সহ শরিকের লোক ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আমাকে বিতাড়িত করেছেন। আমার চার মেয়ে এবং স্ত্রী আছে নেই কোন ছেলে সন্তান। ইতিমধ্যেই তিন মেয়ে কে বিবাহ দিলেও প্রতিবন্ধী ছোট মেয়ে আছে আমার সাথে। অন্যের বাড়িতে চেয়ে চিনতে কোন রকমের দিন পার করছে।

মোমিন উদ্দীনের স্ত্রী আছিয়া বেগম জানান, সংসারে নুন আনতে পানতা ফুরায়। এই অভাবে মধ্যে কি ভাবে দিন পারকরছি শুধু আল্লাহ জানে। আমারা দুজন খুব অসুস্থ আমাদের শরীকের জমি ফাঁকি দিয়ে নিয়েছে আমরা তাই নদীর পাড়ে বাস করছি।

মেয়ে সরবানু বেগম জানান, আমারা চার বোন খুব অভাবের মধ্যে বড় হয়েছি। বাবার চাচাতো ভায়ের আমাদের জমি ফাঁকি দিয়ে নিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।তাই আমারা নদীর পাড়ে বাসবাস করছি। কিছুদিন আগে শুনলাম নদী কাটবে এখন আমরা যাবো কোথায়? । সবশেষে তিনি তার জমি ফেরত পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আহসান হাবিব জানান, তিনি বৃদ্ধা মোমিন উদ্দীনের জমি দেখাশুনা করতেন। জমি বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া কারনে বৃদ্ধার চাচাতো ভাইয়েরা তাকে নানা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। আদালত মামলা শুলো মিথ্যা বলেই খারিজ করে দিয়েছে।

এদিকে অভিযোগ আস্বীকার করে শাহাজান রেজাউল ও সিরাজুল জানান, মোমিন উদ্দীনের কোন জমি আমাদের মধ্যে নেই।ওর জমি তার নিজের ভাইয়ের মধ্যে পড়ে আছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্টটি শেয়ার করুন

©All rights reserved© SatkhiraVision.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com