শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে এবং সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির দীর্ঘ ৫ বছর আগের মেয়াদ উত্তীর্ণ আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর ) সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের সংগীতা মোড়স্থ পরিবহন কাউন্টারের সামনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক শেখ তারিকুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ, দেবহাটা উপজেলার বিএনপি আহবায়ক শেখ সিরাজুল ইসলাম, সাবেক যুবদল সভাপতি আবুল হাসান হাদী, জেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি আহসানুল কাদির স্বপন, জেলা যুবদলের সাবেক প্রধান সমস্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টা, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এড. কামরুজ্জামান ভুট্টো, জেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি শরিফুজ্জামান সজীব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন প্রমূখ।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের আলোকে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে সভায় তারিকুল হাসান বলেন, ‘বিগত দিনে রাজপথে থেকে যারা আন্দোলন সংগ্রাম ত্বরান্বিত করেছে, যারা জেল খেটেছে, যারা যুদ্ধ করেছে তাদের মতো যোগ্যদেরকে বিবেচনায় এনে সে সমস্ত পরীক্ষিত সৈনিকদের নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির একটি কমিটি উপহার দিন।’
তিনি আরো বলেন, ‘যদি যোগ্য লোকদের নিয়ে কমিটি উপহার দেন তাহলে আমরা রাজপথ থেকে আশ্বস্ত করতে চাই, আগামী সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা থেকে চারটি আসনই আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে উপহার দেবো ইনশাল্লাহ।’
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ বাংলার আন্দোলন সংগ্রাম বন্ধ করার জন্য শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাতক্ষীরার উন্নয়নের কারিগর, তালা-কলারোয়ার জননন্দিত নেতা বার বার নির্বাচিত সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফরমায়েশি রায়ে ৭০ বছরের সাজা দিয়েছিল। আর তার এ সাজা দেয়ার জন্য এটর্নি জেনারেল ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা কোর্টে আসতেন। আর তার সহযোদ্ধা হিসেবে আজকের জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী তার সাথে থাকতেন যাতে হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সাজা নিশ্চিত করা যায়।’
সতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী ও সদস্য সচিব আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে জেলা আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার দাবি জানান বক্তারা।
সভা শেষে একটি র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী আহবায়ক ও আব্দুল আলিমকে সদস্য সচিব করে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ৯টি ইউনিটের কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয় চিঠিতে। তবে ৫ বছর পার হলেও এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি বর্তমান আহবায়ক কমিটি।