admin
- ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ / ১৫৪ Time View
এসভি ডেস্ক: দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একেরপর এক অপপ্রচারে নেমেছে একটি গ্রুপ। তাদের অপপ্রচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তিনি।
নায়েব রফিকুল ইসলাম বলেন, ধূলিহর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে থাকাকালীন সময়ে একটা গ্রুপ মাসে দুই একবার দুপুর বেলা আমার অফিসে যেতেন এবং দুপুরে ভাত খাওয়ার জন্য টাকা চাইতেন। তাদের আকুতি মিনতির কারণে আমি তাদের খাবার টাকা দিতাম। এরপর কতৃপক্ষ আমাকে শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলি করে দেন। আমি সেখানে যোগদান করতে না করতেই ওই গ্রুপের সদস্যরা মোবাইল ফোনে আমার কাছে টাকা চান (কল রেকর্ড সংরক্ষিত)। আমি তাদের বলি ভাই আমি এখনও যোগদান করতেই পারলাম না। একদিন আপনারা আসেন দুপুরে খাবো। এরপর দিন দেখলাম আমি পদ্মপুকুরে এসে সীমাহীন অনিয়ম ও দূর্ণীতি করছি এমন শিরোনামে আমার বিরুদ্ধে নিউজ করা হয়েছে।
এর কয়েকদিন পর তারা একটা খাওয়া দাওয়ার অনুষ্ঠান করে। এর একদিন আগে আবার আমার কাছে দুই হাজার টাকা দাবী করে। আমি তখন টাকা দেইনি। গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আবার একটা নম্বর থেকে কল দিয়ে আমি কেন অফিসের বাইরে তা জানতে চান। আমি বললাম অফিসের কাজেও আমাকে অনেক সময় বাইরে থাকতে হয়। ঠিক তখনই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে (অডিও কল রেকর্ড সংরক্ষিত)। আজ দেখছি আমার বিরুদ্ধে আবার নিউজ! এরপর ওই একই গ্রুপের একজন আমাকে কল দিয়ে বলে, রফিকুল ভাই ফাও ফাও সাংবাদিকের সাথে ঝামেলা না করে মিটিয়ে ফেলেন। আসেন কিছু টাকা দিয়ে একটা প্রতিবাদ দিয়ে দিচ্ছি আর ঝামেলা মিটিয়ে দিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের আগে এই গ্রুপটির কারণে শুধু আমি না, সাতক্ষীরার অনেক মানুষই খুব বিপদে ছিল এখনও আছে। আ.লীগের সময় এই গ্রুপটি নিজেদের তাঁতীলীগের বা আ.লীগের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছামতো টাকা চাইতো। আবার এখনও তারা ভোল পাল্টে একই পথ অনুসরণ করে বিভিন্ন মানুষের কাছে টাকা চাইছে। আর টাকা না দিলে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে নানাভাবে অপপ্রচারসহ নানাভাবে তাদের চরিত্র হনন করছে। আমার কাছে টাকা চাওয়া ও আমাকে গালাগালি দেওয়ার অডিও আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।