আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাঁচরখী (বৈদ্যপাড়া মোড়) গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বৈদ্য’র ছেলে আল মুহিদ হাসান শান্ত (২৫), হাফিজুর রহমান বৈদ্য’র স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৪৩) ও রংপুর জেলার কুৃড়িগ্রাম গ্রামের বেলাল হোসেন (২৪)।
এদিকে মামলার পর আসামী আল মুহিদ হাসান শান্ত’র মা ঝর্ণা বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলা সুত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আল মুহিদ হাসান শান্ত ফুসলিয়ে ওই ছাত্রীকে বিয়ের পায়তারা করছিল। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই ছাত্রীকে আল মুহিদ হাসান শান্ত, তার মা ঝর্ণা বেগম ও বেলাল হোসেনের ইন্ধনে স্কুলে যাওয়া আসার পথে এবং নিকট আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাওয়া আসার পথে অসৎ উদ্দেশ্যে ফুসলাইতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ১৩ ডিসেম্বর ওই স্কুলছাত্রী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাতানী গ্রামে তার সেজো খালার বাড়ীতে যায়। খালার বাড়ী থেকে নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে গত ১৫ ডিসেম্বর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাতানী রাস্তার উপর থেকে শান্তর মা ঝর্ণা বেগম ও বেলাল হোসেনের সহযোগীতায় শান্ত অপহরণ করে ওই স্কুলছাত্রীকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে পালিয়ে আছে আল মুহিদ হাসান শান্ত। তাছাড়া শান্ত ছেলেটা ভালোনা। নাবালিকা মেয়েটার ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া শান্তর বোন শান্তি খুবই বেয়াদপ। সে মোবাইলে বিভিন্নভাবে মেয়ের স্বজনদের হুমকি ধামকি ও গালাগালি করছে।
ওই স্কুলছাত্রীর বোন বলেন, প্রতিবেশীদের মাধ্যমে আমরা ওদের বাড়ীতে খোঁজ নিয়ে দেখেছি। ওরা আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক বোনটাকে অজ্ঞাতস্থানে আটকিয়ে রেখেছে। তাছাড়া, আমাদের মোবাইলে ম্যাসেজ করে হুমকিও দেয়া হচ্ছে। আমরা আমাদের বোনের ব্যাপারে শংকিত।
এ ব্যাপারে শান্তর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তবে অন্য নাম্বারে যোগাযোগ করলে শান্তর বোন শারমিন সুলতানা শান্তি ফোন রিসিভ করে বেফাঁস কথাবার্তা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সাতক্ষীরা থানার এসআই সরোয়ার বলেন, ‘ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই মামলায় একজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার ও ভিকটিম স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’