বৃহস্পতিবার(১৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৫ টায় তালা প্রেসক্লাব ও তালা উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে তালা ডাকবাংলো চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এস.এম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি এস.এম আকরামুল ইসলাম,নতালা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আকবর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান মিঠু, পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মতিন, তালা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক এম.এ ফয়সাল. মোঃ বাবলুর রহমান, এস.এম হাসান আলী বাচ্চু, বিএম বাবলুর রহমান,মোঃ সোহাগ হোসেন, পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবের মোঃ জামালউদ্দীন, মোঃ আলমগীর হোসেন,মোঃ আল মামুন,তালা উপজেলা প্রেসক্লাবের শামীম খাঁন, মোখলেছুর রহমান, তালা প্রেসক্লাবের এস.এম জহর হাসান সাগর, পার্থ প্রতিম মন্ডল, মোঃ ফয়সাল হোসেন, কাজী জীবন বারী প্রমুখ।
এ সময় পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আক্তারুল ইসলামের পিতা মোঃ শফিকুল ইসলাম, স্ত্রী আখি আক্তার, রেহেনা আক্তার, মনোয়ারা বেগম, পাপড়ি আক্তার, মোঃ আজিজুল ইসলাম আজিজ, মিজানুর রহমান খান।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বেলা ১১ টায় ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদে সাংবাদিক আক্তারুল ইসলাম তার ছেলে ও মেয়ের জন্মনিবন্ধন করার জন্য উপস্থিত হন। ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত না থাকা তার অপেক্ষা করতেছিলেন। ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে তার এক আত্মীয়পর জমিজমা নিয়ে বিরোধ মিমাংসার দিন ধার্য ছিল। ওই সময় আক্তারুল ও আতাউরকে তার আত্মীয় দেখে বিরোধ মিমাংসার বিষয়ে চেয়ারম্যান যাহাতে ন্যায় বিচার করেন তার জন্য তাদেরকে সুপারিশ করতে বলেন। সাথে সাথে সন্ত্রাসী রমজান আলী সরদার (৩৬) ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাছে থাকা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এঘটনায় সাংবাদিক আক্তারের মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয় এবং সাংবাদিক আতাউর কে কিলঘুসি মেরে আহত করে। রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায় ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষ। স্থানীয়রা আহত দুই সাংবাদিককে চিকিৎসার জন্য তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করেন। এই সন্ত্রাসী রমজানকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিসহ এমন নেক্করজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।