বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (সাধারণ শাখা) প্রণয় বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক নোটিশ থেকে এই তথ্য জানা যায়। নোটিশে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবসহ ১২ জন গণমাধ্যমকর্মীকে দাওয়াত দেওয়া তবে প্রেসক্লাব ও প্রেসক্লাবের বাইরের অধিকাংশ সাংবাদিককে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এতে বৈষম্য করা হয়েছে বলে দাবী করে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসন ও হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘হাওরের ১০০ বছর এবং আমাদের করণীয়’ বিষয়ক কর্মশালা জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
সাংবাদিকদের দাওয়াতের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাসসের সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলায় কর্মরত প্রথম সারির অধিকাংশ গণমাধ্যমকর্মীকে দাওয়াত না দেওয়ায় আমি হতবাক হয়েছি। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের অনেককে এই অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে। সাতক্ষীরায় জলাভূমি থাকলে ও হাওর না থাকায় এ বিষয়ে কর্মশালা কোনো কাজে আসবে বলে মনে হয় না।’
এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, ‘সাতক্ষীরাতে বাঁওড় থাকলে ও কোনো হাওর নেই। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও ব্রাক্ষণবাড়িয়াসহ সাত জেলায় শুধু হাওর রয়েছে। তাছাড়া আর কোনো জেলায় হাওর নেই। জলাভূমি নিয়ে কর্মশালা করলেও কাজে আসতো। এই কর্মশালা সরকারি অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।’
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (সাধারণ শাখা) প্রণয় বিশ্বাস বলেন, ‘সাংবাদিকদের দাওয়াত সংক্রান্ত ব্যাপারে চিঠিতে যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সেটি ঠিক হয়নি। ভুল হয়েছে। পরবর্তীতে এমন ঘটনা আর ঘটবেনা।’
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের কাছে কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।