admin
- ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ / ২৮৯ Time View
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার আশাশুনির চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী নুসরাত জাহান রাহিকে হাত, পা ও গলায় গেঞ্জি পেঁচিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি রেজোয়ান কবির জনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রেজোয়ান কবির জনি(২২) আশাশুনি উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে হাত-পা বাধা অবস্থায় বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর থেকে নুসরাত জাহান রাহির মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশাশুনি থানার এসআই ফয়সাল বলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আগরদাড়ি গ্রামের রবিউল ইসলামের ৯ বছরের শিশু কন্যা নুসরাত জাহান রাহিকে শনিবার সকাল থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ীর স্বজনরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেওয়ার পর এক পর্যায়ে দুপুর ২ টার দিকে বাড়ীর পাশ্ববর্তী সোলাইমান আজিজের পুকুরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ ভাসতে দেখতে পাই। পরে সেখান থেকে এলাকাবাসীর সহায়তায় রাহির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় রাহির বাবা বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও খোঁজ খবর নিয়ে রবিবার ভোর রাতে মামলার প্রধান আসামি রেজোয়ান কবির জনিকে তার বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে বখাটে রেজোয়ান কবির জনি হত্যার কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে জনি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুল ছাত্রীর স্বর্ণের কানের দুল ছিনতাই করার জন্য চেষ্টা করছিল জনি। শনিবার তাকে একা পেয়ে একটি হলুদ খেতে নিয়ে তার কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্কুলছাত্রী রাহি আত্মচিৎকার করার চেষ্টা করলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।
আশাশুনি থানার ওসি নজরুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামী রেজোয়ান কবির জনিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বর্ণের দুলের জন্য শিশু রাহীকে হত্যা করা হয়েছে তিনি স্বীকার করেছেন। তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’