শনিবার, ১৯ Jul ২০২৫, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
স্কুলের মেঝেতে ১ ফুট পানি, ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম স্থিতিশীলতা ফেরাতে গোপালগঞ্জের মধুমতী নদীতে নৌবাহিনীর টহল শহীদ আসিফ হাসানের কবর জিয়ারত করলেন ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ সফল করতে শ্যামনগরে মিছিল ও সমাবেশ গোপালগঞ্জে যৌথ অভিযানে আটক ২০, পরিস্থিতি স্বাভাবিক গোপালগঞ্জে চলছে কারফিউ; আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে কোস্ট গার্ড কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর সাংস্কৃতিক পরিষদের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন গোপালগঞ্জে সমাবেশে এনসিপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় সড়ক অবরোধ কালিঞ্চীর কাঁচা রাস্তায় চরম দূর্ভোগ, উন্নয়নের ছোঁয়া চায় এলাকাবাসী সুন্দরবনে বনবিভাগের অভিযানে ট্রলারসহ কাঁকড়া জব্দ

গৃহবধূ ও প্রবাসীকে মারপিটের ঘটনায় সন্ত্রাসী শেখ শাহেদসহ ৯জনের বিরুদ্ধে মামলা

গাজী হাবিব: পাওনা টাকা চাইতে যাওয়ায় সাতক্ষীরায় গৃহবধূ ও তার প্রবাসী ভাইকে মারপিট করে আটকে রাখার ঘটনায় বাঁশদহার নিবরাজ ব্রিক্সের মালিক ও শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ শাহেদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সোমবার(৯ ডিসেম্বর) শিবপুর ইউনিয়নের গোদাঘাটা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী সাবিনা খাতুন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা থানায় মামলাটি করেন।

মামলার আসামীরা হলেন, আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের ধলবাড়িয়া গ্রামের শেখ আঃ মাজেদের ছেলে ও আ.লীগের অর্থ যোগানদাতা সন্ত্রাসী শেখ সাহেদ (৩৬), আনছার আলীর ছেলে মাসুম (২৮), সাহেদের ড্রাইভার সজিব (২০), হেলালের ছেলে মুকুল (২০), শামসুর রহমানের ছেলে, সাবেক মেম্বর হেলাল (৩৫), শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে কর্মী শাওন (২৫), নুরুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম (২৪), নজরুল গাইনের ছেলে সোহাগ (৩০), গদাঘাটা গ্রামের মৃত শাহজান আলীর ছেলে মোঃ মনি (৩০)সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ‘বাঁশদাহ ইউনিয়নের কয়ারবিলে অবস্থিত নিবরাজ ব্রিকস নামে শেখ শাহেদের একটি ইট ভাটা আছে। তার ভাটা হতে ১ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ ইট ক্রয়ের জন্য ২০২০ সালে এককালীন ১০ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা শেখ শাহেদকে প্রদান করেন সাবিনা খাতুন। এরপর ভাটায় ইট পোড়ানোর পর সাবিনা খাতুন ইট আনতে গেলে শেখ শাহেদসহ ভাটা সংশ্লিষ্টরা ‘উন্নত মানের ইট তৈরী হয় নাই, পরবর্তীতে উন্নত মানের ইট তৈরী হলে ডেকে ইট দেবে বলে জানান।’ তাদের কথায় বিশ্বাস করে অপেক্ষা করতে থাকেন সাবিনা খাতুন। পরবর্তীতে তারা কয়েক দফায়, কয়েক সিজনে ইট তৈরী করে বিক্রয় করলেও সাবিনা খাতুনকে কোন ইট দেননি। তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তারা সাবিনা খাতুনের সাথে তালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শালিস বিচার হয়। কিন্তু শাহেদসহ তারা কোন শালিস বিচার মানেননি।

গত ৬ ডিসেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে ৯টার দিকে প্রবাসী আপন ভাই মাসুম (২৭)কে সাথে নিয়ে শেখ সাহেদের বাড়িতে যেয়ে টাকা চাইলে শেখ সাহেদ সাবিনা খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। প্রতিবাদ করলে সাবিনা খাতুন ও তার ভাইকে বেধড়ক মারপিট করে আটকে রাখেন আসামীরা। পরে পুলিশ যেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

সাতক্ষীরা থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্টটি শেয়ার করুন

©All rights reserved© SatkhiraVision.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com