শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
পিঠার গন্ধে ভালোবাসার বন্ধন: ভিবিডি সাতক্ষীরার উদ্যোগে পিঠা উৎসব জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শহর শাখার কর্মী শিক্ষা শিবির বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী নলতা ইউনিয়ন শাখার সুধী সমাবেশ ব্রহ্মরাজপুর বাজারে সালমান মেডিকেল হলের উদ্বোধন পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে অতিরিক্ত পন্য পরিবহন করায় ৭ ট্রাক আটক; অর্থদন্ড গোপালগঞ্জে বাসের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সং’ঘ’র্ষে নি’হ’ত ৩ সোনালী অতীত এফসি’র আহবায়ক কমিটি গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিবিডি সাতক্ষীরার নেতৃত্বে ইব্রাহিম খলিল পূর্ব শত্রুতার জেরে তারালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে পিটিয়ে জখম সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু

গৃহবধূ ও প্রবাসীকে মারপিটের ঘটনায় সন্ত্রাসী শেখ শাহেদসহ ৯জনের বিরুদ্ধে মামলা

গাজী হাবিব: পাওনা টাকা চাইতে যাওয়ায় সাতক্ষীরায় গৃহবধূ ও তার প্রবাসী ভাইকে মারপিট করে আটকে রাখার ঘটনায় বাঁশদহার নিবরাজ ব্রিক্সের মালিক ও শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ শাহেদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সোমবার(৯ ডিসেম্বর) শিবপুর ইউনিয়নের গোদাঘাটা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী সাবিনা খাতুন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা থানায় মামলাটি করেন।

মামলার আসামীরা হলেন, আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের ধলবাড়িয়া গ্রামের শেখ আঃ মাজেদের ছেলে ও আ.লীগের অর্থ যোগানদাতা সন্ত্রাসী শেখ সাহেদ (৩৬), আনছার আলীর ছেলে মাসুম (২৮), সাহেদের ড্রাইভার সজিব (২০), হেলালের ছেলে মুকুল (২০), শামসুর রহমানের ছেলে, সাবেক মেম্বর হেলাল (৩৫), শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে কর্মী শাওন (২৫), নুরুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম (২৪), নজরুল গাইনের ছেলে সোহাগ (৩০), গদাঘাটা গ্রামের মৃত শাহজান আলীর ছেলে মোঃ মনি (৩০)সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ‘বাঁশদাহ ইউনিয়নের কয়ারবিলে অবস্থিত নিবরাজ ব্রিকস নামে শেখ শাহেদের একটি ইট ভাটা আছে। তার ভাটা হতে ১ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ ইট ক্রয়ের জন্য ২০২০ সালে এককালীন ১০ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা শেখ শাহেদকে প্রদান করেন সাবিনা খাতুন। এরপর ভাটায় ইট পোড়ানোর পর সাবিনা খাতুন ইট আনতে গেলে শেখ শাহেদসহ ভাটা সংশ্লিষ্টরা ‘উন্নত মানের ইট তৈরী হয় নাই, পরবর্তীতে উন্নত মানের ইট তৈরী হলে ডেকে ইট দেবে বলে জানান।’ তাদের কথায় বিশ্বাস করে অপেক্ষা করতে থাকেন সাবিনা খাতুন। পরবর্তীতে তারা কয়েক দফায়, কয়েক সিজনে ইট তৈরী করে বিক্রয় করলেও সাবিনা খাতুনকে কোন ইট দেননি। তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তারা সাবিনা খাতুনের সাথে তালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শালিস বিচার হয়। কিন্তু শাহেদসহ তারা কোন শালিস বিচার মানেননি।

গত ৬ ডিসেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে ৯টার দিকে প্রবাসী আপন ভাই মাসুম (২৭)কে সাথে নিয়ে শেখ সাহেদের বাড়িতে যেয়ে টাকা চাইলে শেখ সাহেদ সাবিনা খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। প্রতিবাদ করলে সাবিনা খাতুন ও তার ভাইকে বেধড়ক মারপিট করে আটকে রাখেন আসামীরা। পরে পুলিশ যেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

সাতক্ষীরা থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্টটি শেয়ার করুন

©All rights reserved© SatkhiraVision.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com