সরেজমিনে মাদ্রাসায় গেলে স্থানীয়রা বলেন, হরিশপুর কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাতের কারণে তিনি এর আগেও সাময়িক বরখাস্ত হন। তদন্ত কমিটির তদন্ত মোতাবেক ২৭ হাজার ২৪ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আত্মসাৎকৃত অর্থ ব্যাংকে জমা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার করলে তৎকালীন কমিটি তার সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে নেন। এছাড়া তিনি বর্তমানে মাদ্রাসায় কর্মরত সহকারী মৌলভী শিক্ষিকা ছাবিহা খাতুনের কাছ থেকে বি.এড প্রশিক্ষণের অনুমতির জন্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা গ্রহন করেছেন। তাছাড়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারীতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়মিত কমিটি অনুমোদনের জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জোর পূর্বক আদায় করেছেন।
তারা আরো বলেন, চুপড়িয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী পদে চাকুরীরত অবস্থায় ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের কারণে চাকুরীচ্যুত হন। তার পরও সুপার মাও. কওছার আলী নিজেকে সংশোধন করেননি। বরং তিনি বিভিন্ন সময় একাধিক নারীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন বলে তার স্ত্রী ও কন্যাদের মৌখিক ও লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। ৩ কন্যা ও স্ত্রী থাকা স্বত্ত্বেও তিনি বর্তমানে খাদিজা খাতুন নামের এক মহিলার সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত আছেন। তিনি মেয়েদের ও স্ত্রী দেখাশোনা না করে অন্য মহিলা নিয়ে বাইরে বাইরে থাকছেন। তার সাথে মাদ্রাসার কোন শিক্ষকেরই সুসম্পর্ক নেই। তিনি চারিত্রিকভাবে এতো খারাপ যে তিনি এই মাদ্রাসায় থাকলে আমরা আমাদের বাচ্চাদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াবোনা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুট ১২ টার দিকে ক্লাস চলাকালীন সময়ে হঠাৎ সুপারের অফিস রুমে হট্টগোল শুনতে পাই। আমরা যেয়ে দেখি সুপারকে টানা হেচড়া করছেন তার ৩ মেয়ে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি শিক্ষক রুমে আশ্রয় নেন। আমাদের সুপারের এমন কর্মকান্ডে আমরা হতাশ। তিনি তার নিজের মেয়ে ও স্ত্রীদের সাথে যে খারাপ ব্যবহার করেন তাতে আমরা তার কাছ থেকে ভাল ব্যবহার প্রত্যাশা করছিনা। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন দুশ্চরিত্রবান সুপার আমরা দেখিতে চাই না। আমাদের পিতা-মাতা এই সুপার থাকাকালীন অত্র প্রতিষ্ঠানে আমাদের পাঠাবেন না বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য সুপারের মোবাইলে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও হরিশপুর কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি শোয়াইব আহমাদ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান আছে।’