গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৮ টার দিকে সাতক্ষীরার তালা সরকারী হাসপাতালে ওই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের সাথে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে পাইকগাছা থানাধীন শ্রীরামপুর গ্রামে বসবাস করছিলেন নিঃসন্তান ছায়রা বেগম। অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে ঔষধ আনতে যেয়ে পালিয়ে যান স্বামী। এদিকে মরদেহের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে মৃত্যুর পরদিন তার বোন মনোয়ারা বেগম(৬০) হাসপাতালে আসেন লাশ নিতে। তবে নানান জটিলতা থাকার কারণে দাফনের জন্য লাশটি নিতে পারেননি। অপরদিকে মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে যান থানা পুলিশ। মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ঘোলাটে থাকায় লাশ হস্তান্তর করেনি পুলিশ। স্বভাবিক মৃত্যু না কি অন্য কোন রহস্য রয়েছে তা জানতে ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. রাজিব সরকার বলেন, ‘ওই রোগী সম্ভবত স্টক করেছিলেন। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে রিফার করে সাতক্ষীরায় পাঠানোর কথা বলা হয়। তবে স্বামী পরিচয়ে যিনি ভর্তি করেছিলেন বা তার কোন আত্মীয়-স্বজনকে পাওয়া না যাওয়ায় তাকে হাসপাতালেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’
তালা থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, ‘ছায়রা বেগমের মৃত্যুর ঘটনা শুনে পুলিশ হাসপাতালে যায়। ডাক্তাররা ধারণা করেছেন তার ষ্টোকজনিত জারণে মৃত্যু হয়েছে। তবে বিষয়টি ঘোলাটে থাকায় এবং আসল ঘটনা উদঘাটনের জন্য ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার লাশ মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানতে পারবো স্বভাবিক মৃত্যু না কি অন্য কোন কারণ রয়েছে।’