মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত দুই ছাত্রীকে বিয়ে করে বিতাড়িত শিক্ষক আবারো ফিরলেন কলেজে! সমালোচনার ঝড় গোপালগঞ্জে ট্রাক-মোটরসাইকেল সং’ঘ’র্ষে নি’হ’ত এক, আ’হ’ত এক শিশুদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলতে পারলেই শিশুশ্রম বন্ধ হবে: জেলা প্রশাসক পাইকগাছায় ফেসবুকে আ’প’ত্তি’ক’র পোষ্টের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের থানায় জিডি ও সংবাদ সম্মেলন খাদ্য কর্মকর্তা আমিনুরকে ফাঁদে ফেলতে একেরপর এক নাটকীয় অভিযোগ খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশে আব্দুর রউফের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ  গণঅভ্যুত্থানের সুফল পৌঁছে দিতে যুবসমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে: হেলাল জলাবদ্ধতা নিরসনের খালের দাবিতে খানপুরে মানববন্ধন সুন্দরবনে বিজিবির ‘বয়ের সিং ভাসমান বিওপি’ ক্যাম্প উদ্বোধন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

চাকুরীর প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রধান শিক্ষক পরিমল কর্মকারের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে

এসএম মিজানুর রহমান, শ্যামনগর: শ্যামনগরের আলোচিত প্রধান শিক্ষক পরিমল কর্মকারের বিরুদ্ধে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক।

শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬০ নং শিশু শিক্ষা নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল কর্মকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিয়নের চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী মহল শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অর্ধশতাধিক অভিযোগ দাখিল করিলে, নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত অভিযোগগুলো প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হকের কাছে প্রদান করেন, তদন্ত স্বাপক্ষে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।

শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, ‘আমার কাছে প্রধান শিক্ষক পরিমল কর্মকারের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ দাখিল হয়েছে। অভিযোগে যে অর্থের কথা বলা হয়েছে তা ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। তদন্ত শেষ পর্যায়ে।

ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ সাবেক সংসদ সদস্যের আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগ ও শিক্ষক বদলির দায়িত্ব নিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক পরিমল কর্মকার। হঠাৎ দেশের পরিবর্তন হওয়ায় ভুক্তভোগী মহলকে চাকরি দিতে না পারায় ও বদলি, অপসারণ না করতে পারায় বিপাকে পড়েছে ধুরন্ধর প্রধান শিক্ষক পরিমল কর্মকার।

মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের রামপ্রসাদ জানান, পরিমল কর্মকার চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, বর্তমানে সে শ্যামনগর সদরে দুইটা বাড়ি ,খুলনাতে একটা বাড়ি ও ভারতের সটলেকে একটি বাড়ি করেছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

বাদঘাটা গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে ১৬০ নং শিশু শিক্ষা নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রধান শিক্ষক পরিমল কর্মকার স্কুলে ঠিক মতন আসেন না, স্কুলের প্রতি তার কোন খেয়াল নেই। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে বাইরে বাইরে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।

শ্যামনগর পৌরসভার কাউন্সিলর এস কে সিরাজুল ইসলাম বলেন, পরিমল কর্মকার চাকুরীর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ও বদলি অপসারণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অজুহাতে সাধারণ শিক্ষক সহ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কয়েকটি বাড়ি ও শ্যামনগর সদরে দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট একটি গার্মেন্টস এর দোকান করে সেখানে অধিকাংশ সময় দিয়ে থাকেন। তার স্কুলটি আমার ওয়ার্ডে হওয়ায় তিনি ঠিক মতন স্কুল করেন না ,বলে আমার এলাকার সাধারণ মানুষের বহু অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ প্রতিনিয়ত আমার কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে থাকেন। পরিমল কর্মকার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্কুলটিতে ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে অবস্থান করছেন। ইতিমধ্যে আমি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। তাকে দ্রুত অপসারণ করা না হলে অভিভাবকগণ বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে উক্ত দুর্নীতিবাজ ধুরন্ধর আলোচিত প্রধান শিক্ষক পরিমল কর্মকারকে অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক পরিমল কর্মকার বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে অধিকাংশ মানুষের টাকা পরিশোধ করেছি। এছাড়া আমি ঠিকমত স্কুলে সময় দিচ্ছি। তবে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে।’

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্টটি শেয়ার করুন

©All rights reserved© SatkhiraVision.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com