সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
শ্যামনগরের গাবুরায় ওয়ার্ড বিএনপির অফিস উদ্বোধন বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীন আশাশুনি উপজেলার উদ্যোগে ডায়েরী বিতরণ চাকুরীর প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রধান শিক্ষক পরিমল কর্মকারের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে মুক্তিপণের দাবিতে সুন্দরবনে জেলেকে অপহরণের অভিযোগ শ্যামনগরে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকে পেটানোর অভিযোগ যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীর পাশে এনসিটিএফ বিতর্কিত এসআই প্রহ্লাদের শাস্তির দাবীতে আশাশুনিতে মানববন্ধন আশাশুনিতে কৃষানীদের মাঝে লবনাক্ততা ও খরা সহনশীল বীজ ও জৈব সার বিতরণ সাতক্ষীরায় বিজিবি’র অভিযানে মাদকসহ প্রায় বিশ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ তালায় কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ

আগাম আলু ক্ষেতে ব্যাপক মড়ক, দিশেহারা আলু চাষীরা

ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আলুর ক্ষেতে ব্যাপক হারে মড়ক দেখা দিয়েছে। ফলে চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মড়ক অব্যাহত থাকলে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে তাদের আশস্কা।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে আগাম আলু চাষ হয়েছে ৬ হা জার ৭৮০ হেক্টর জমিতে। এতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ১৬০ মেঃ টন।
ছবি: স
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাহাগীলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি নিতাই ইউনিয়নের ফরুয়াপাড়া ফুলবাড়ীর ডাঙ্গা, বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবরের ডাঙ্গা, পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর, রনচন্ডী ইউনিয়নের কুঠিপাড়ার ডাঙ্গা, কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কেশবার ডাঙ্গায় আগাম আলু ক্ষেতে ব্যাপক হারে মড়ক দেখা দিয়েছে। মড়ক প্রতিরোধের ওষুধ একাধিকবার স্প্রে করেও কোন ফল পাচ্ছে না চাষীরা ফলে ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছে তারা তাদের আলু ক্ষেত।
খোলাহাটি গ্রামের আগাম আলু চাষী মোজাহিদুল ইসলাম সুরুজ জানায়, ‘‘তিনি ৫ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষাবাদ করেছেন। এর মধ্যে তার দুই বিঘা জমির আলু ক্ষেত সুমূলে মরে গেছে।’’
উত্তর দুরাকুটি গ্রামের চাষী আব্দুস সামাদ, সাজারুল, আনিছুল ও শামীম হোসেন বাবু ব্যাপকহারে আলু মড়কের কথা জানান।
এসব কৃষকদের অভিযোগ, আধুনিক পদ্ধতির চাষাবাদের বিষযে তারা কিছু জানে না। কৃষি দপ্তর থেকে তাদের কখনও প্রাথমিক ধারণা কিংবা প্রশিক্ষণের জন্য ডাকা হয়নি। তারা এতদিনে কৃষি অফিস থেকে কোন পরামর্শ পায়নি।
চাষী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আলু লাগানোর পর গাছগুলো লকলক করে বেড়ে উঠছিল। কিন্তু আলুর গুটি ধরার আগেই গাছ গুলো মড়ে যাচ্ছে। প্রতিরোধক স্প্রে ব্যবহার করেও কোন কাজ হচ্ছে না। শুধু খরচ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলম বলেন, এ উপজেলায় সেভেন জাতের আলু চাষ বেশি হয়। এ আলুর বীজ আনেক পুরানো হয়ে গেছে। তাছাড়া একই জমিতে বার বার আলু চাষ করলে রোগ ব্যাধির আক্রমণ বেশি হয়। এ কারণে হয়ত আলুর মড়ক লাগতে পারে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্টটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017 Hostitbd.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com