এস এম মিজানুর রহমান, শ্যামনগর: সাতক্ষীরা টু শ্যামনগর সড়কের জনদুর্ভোগ লাঘবে ও সংস্কারের দাবিতে জামায়াতে ইসলামী মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার (৭ই নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শ্যামনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে শ্যামনগর চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রহমান এর নেতৃত্বে সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম।এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা নায়েবী আমির মাওলানা আব্দুল মজিদ, সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম মোস্তফা, উপজেলা সমাজসেবা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, আটুলিয়া ইউনিয়ন আমির মাওলানা আব্দুল হামিদ, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি সাঈদী হাসান বুলবুল, উপজেলা যুব বিভাগের সদস্য সাইফুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ, রুহুল আমিন সহ জামায়াতে ইসলামী উপজেলা শাখার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজকে বিশেষ দিন ৭ নভেম্বর। নভেম্বরের সকল সিপাই জনতার সফল বিপ্লব জাতীয় সংহতি দিবস। এই দিবসের সাথে আমরা একাত্মতা ঘোষণা করছি। সেই সাথে ভেটখালী থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রোডস এন্ড হাইওয়ের এই রাস্তাটি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় হয়েছে। মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল নিয়ে যেমন চলা যায় না, তেমন চারচাকা নিয়ে চলাচলে বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু প্রতিদিন প্রতিনিয়ত শ্যামনগর থেকে হাজার হাজার জনগণ কেচকাম, মামলা মকদ্দমা, কোট কাচারি সহ বাইরের বিভাগে বিভিন্ন কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে মহিলা, পুরুষ, বাচ্চা যাতায়াত করে থাকে। এই যাতায়াত ব্যবস্থার এত করুন গাড়িঘোড়া যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ড্রাইভারদের কষ্ট পেতে হচ্ছে, জনগণ কেউ কষ্ট পেতে হচ্ছে। অথচ সরকার রোডস এন্ড হাইওয়ে থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা তারা ট্যাক্স গ্রহণ করছে, রাস্তার জন্য ফান্ড গ্রহণ করছে অথচ এই রাস্তাটি সংস্কারের মুখ দেখতে পেল না।
আমরা শুনেছি রাস্তাটি চার লেনের হবে, হলে তো ভালো। আমরা চেয়েছিলাম চারলেন দরকার নাই রাস্তার দু পাশে অন্তত ৪/৫ ফুট চওড়া এজিং করে দিয়ে পুনঃনির্মাণ করা হতো তাহলে আমাদের চাহিদা মিঠতো। আমরা শুনেছিলাম এর জন্য কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, সেই জন্য সাতক্ষীরা থেকে রাস্তার দু’পাশে গাছ কাটা শুরু হয়েছিল। যদিও গাছ কাটা অন্য একটা কর্মসূচি, তবু আমরা মনে করেছিলাম রাস্তাটি বড় করতে গাছ কাটতে হতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমরা শুনলাম এই রাস্তার বরাদ্দ টাকা উইড্র করা হয়ে গেছে।
সাতক্ষীরার এক্সচেঞ্জ সাহেব নাকি সুপারিশ করেছেন বলবোনা উইডো করেছেন সেটি তিনি জানেন। আমরা প্রশ্ন করতে চাই চিপ ইঞ্জিনিয়ার এর কাছে, তার মাধ্যমে এই মন্ত্রণালয়ের সচিবের এর কাছে, তার মাধ্যমে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত সম্মানিত উপদেষ্টার কাছে কেন? কোন কারণে? আমাদের এত গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প সাতক্ষীরা থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তাটি কেন উইড্র করা হলো? জনগণ মনে করেছিল অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার হবে তাও হলো না। অথচ প্রতিবছর এই রোডস এন্ড হাইওয়ে রাস্তায় যে খানাখন্দ গুলো হয় তা তারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে একটু পিচে পানি দিয়ে, একটু পাথর দিয়ে খানা খন্দগুলো ভরাট করে চলে যায়। আমরা মনে করি রাস্তা ভালো হয়ে গেছে কিন্তু বছর না যেতেই গর্তগুলো ফুটে ওঠে আবার গর্ত হয়। যে প্রতি বছরে খুচরা খরচ গুলো করলো, এই খরচগুলো যদি এক সাথে করে খরচ করতো তাহলে কালীগঞ্জ পর্যন্ত নতুন রাস্তা হয়ে যেতো। আমরা চাই অতি দ্রুত এই রাস্তাটি যেন সংস্কার করা হয়। তা না হলে আমরা পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব।