এসভি ডেস্ক: ‘সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে সাতক্ষীরা সদর পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর উদ্যোগে আন্তঃধর্মীয় এক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর এমআইপিএস প্রকল্পের সহযোগিতায় এই সংলাপের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় সঙ্গীত ,পবিত্র কোরান তেলাওয়াত, পবিত্র গীতা পাঠ ও পবিত্র বাইবেল পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। পিএফজি কো-অরডিনেটর অধ্যক্ষ (অব) পবিত্র মোহন দাশ এর সভাপতিত্বে সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষেদের নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমেদ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, সিনিয়র সাংবাদিক ও পিএফজি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে সংলাপের সার সংক্ষেপ ও করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারি মাসুদুর রহমান রঞ্জু। সংলপের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. দিলারা বেগম।
সংলাপে বক্তব্য রাখেন, সুজন সভাপতি অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সদস্য পিএফজি,ড. মুফতি আক্তারুজ্জামান, ক্যাথলিক চার্চ, সাতক্ষীরার ফাদার ভিনসেন্ট মন্ডল, সহকারী অধ্রাপক ও পুরোহিত অমিত চক্রবর্তী সনাক সভাপতি হেনরী সরদার, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান এক্য পরিষদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, হিন্দু বিবাহ রেজিস্টার নির্মল কুমার দাস, ফিংড়ী পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক বিশ্বজিৎ কুমার বাছাড়, সাতক্ষীরা ইমাম পরিষদের সম্পাদক শেখ মাহবুবুর রহমান, পিএফজি অ্যাম্বাসেডর ফরিদা আক্তার বিউটি, পিএফজি সদস্য নূর মোহাম্মদ পাড় প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও সম্প্রাদায়ের মানুষের বসবাস। বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় ও জাতীগত সম্প্রীতির দেশ। ধর্ম কখনও বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে না। কিন্ত বিপথগামী মানুষ ধর্মকে পুজি করে সমাজে বিভেদ সূষ্টি করে, যা থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। আমাদের ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। সেজন্য সকল ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। গুজবে কান নাদিয়ে সত্য তথ্য জানতে হবে। কেউ যেন গুজব বা উস্কানী না দেয় সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে একটি অসম্প্রদায়িক শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যেতে হবে, গড়ে তুলতে হবে মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা। যেখানে প্রত্যেক ধর্ম ও সংস্কৃতিক মানুষ নিরাপদ থাকবে।
সবশেষে উপজেলার আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার্থে সর্বসম্মতিক্রমে ১১টি ঘোষণা সম্বলিত ঘোষণাপত্রে উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারী স্বাক্ষর করেন।