Spread the love

গত ১৭ অক্টোবর ‘সাতক্ষীরা ভিশন’ অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘সাতক্ষীরার নগরঘাটার যুব মৈত্রী নেতার বিরুদ্ধে ট্রলিভর্তি মাছ ছিনতাইয়ের অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ওই সংবাদে আমাকেসহ সবুজ সরদার, হায়দার শেখ ওরফে লাল, শেখ সরোয়ার হোসেন ও সীমান্তের নাম জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকৃতপক্ষে, আমরা ৬৬ জন ঘের ব্যবসায়ী গণঘের করার উদ্দেশ্যে গত ১২ জুন স্টাম্পে লিখিতভাবে বিসমিল্লাহ গণঘের নামে ৫ বছরের জন্য জমি লিজ হিসেবে ডিড করি। তবে ওই সময় আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় প্রভাব খাটিয়ে আমাদের এলাকার ভ’মিদস্যু হিসেবে পরিচিত স্বপন ও তার ভাই মদন আমাদের ওই জমিতে ঘের করতে দেননি। স্বপন ও মদনের ওই গণ ঘেরের মধ্যে কোন জমি না থাকা স্বত্ত্বেও তারা আ.লীগ সরকার দলীয় কয়েক জনের যোগসাজসে ওই ঘের জবর দখল করে রাখেন। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে গণঘের মালিকেরা ওই ঘের দেখভালের যাবতীয় দায়িত্ব আমার উপর প্রদান করেন। মাস দেড়েক আগে সমগ্র গণঘের সহ সমগ্র মাঠের ঘের বন্যার পানিতে একাকার হয়ে যায়। এতে আশেপাশের ঘেরের মাছ আমাদের গণঘেওে এসে আশ্রয় নেই। গত ৫ আগস্ট আ.লীগ সরকারের পতনের পর স্বপন ও মদন এবার বিএনপি দলীয় মেম্বর আব্দুল আলীমের ছত্রছায়ায় ওই ঘের জবর দখল করে মাছ না ছেড়েও বন্যার পানিতে ভেসে আসা ঘেরের ভেতরের মাছ ধরার পরিকল্পনা করে। এরপর গত বুধবার সকালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আলীম মেম্বরের সহযোগিতায় ঘেরের মাছ ধরে ট্রলিতে করে কাটায় বিক্রি করতে আসলে আমিসহ ঘের মালিকেরা সেই ট্রলি আটকে দেই। এরপর ঘের মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে ট্রলির মাছ বিনেরপোতার কাটায় বিক্রি করে সেই টাকা ফান্ডে রাখা হয় যাতে পরবর্তীতে জমির মালিকদের লিজের টাকা আমরা পরিশোধ করতে পারি। গত বুধবার মাছ ছিনতাইয়ের মত কোন ঘটনা ঘটেনি। দিবালোকে মাছ ছিনতাইয়ের মত ঘটনা হাস্যকর। একটি কুচক্রি মহল ্সাংবাদিককে ভূল তথ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের বিরুদ্ধে এহেন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আমি প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
জাহাঙ্গীর হোসেন
পিতা: আব্দুল মজিদ
গ্রাম: নগরঘাটা বাজপাড়া,
তালা, সাতক্ষীরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *