Spread the love

জাহাঙ্গীর আলম: সাতক্ষীরার ভোমরা সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের বারবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বন্দরের সফল ব্যবসায়ী, অধিক করদাতা ও বিশিষ্ঠ সমাজসেবক নাজমুল আলম মিলন, শ্রমিক নেতা নিজাম উদ্দীন(১৭২২) ও মোঃ হারুণ(১১৫৫)সহ নিরীহ ও নির্দোষ মানুষের নামে হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

আজ সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সামনে ভোমরা সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশন, ৪টি শ্রমিক ইউনিয়ন ১১৫৫, ১১৫৯, ১৭২২ ও ২২৬৪ এবং ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির হাজার হাজার শ্রমিক ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি পরিতোষ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভোমরা ইউনিয়ন জামায়াতের রোকন মাও. ওবায়দুল্লাহ, কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাদিউজ্জামান বাদশা, বিএনপি নেতা গ্রাম্য ডাক্তার জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্রমিক নেতা লুৎফর রহমান, নিহত খলিল আহমেদের বরভাই ইসমাইল হোসেন, স্ত্রী মিনা খাতুন প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালের দিকে মাদক বিরোধী অভিযানের সময় ক্রসফায়ারে নিহত হন ভোমরার লক্ষীদাঁড়ী গ্রামের আজগার আলীর ছেলে খলিল আহমেদ পুটি। গত ৫ আগস্ট আ.লীগ সরকার পতনের পর ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়া গ্রামের উসমান গাজীর ছেলে জাফর আহমেদ বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় ভোমরা সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের বারবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বন্দরের সফল ব্যবসায়ী, অধিক করদাতা ও বিশিষ্ঠ সমাজসেবক নাজমুল আলম মিলন, শ্রমিক নেতা নিজাম উদ্দীন(১৭২২) ও মোঃ হারুণ(১১৫৫)সহ অসংখ্য নিরীহ ও নির্দোষ মানুষকে আসামী করা হয়েছে।

যেখানে খলিল আহমেদ পুটি মারা গেছেন ২০১৮ সালের দিকে অথচ ওই মামলায় ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৪ সালের।  মামলায় ভিকটিমের বাবাকে মৃত দেখানো হয়েছে তবে তিনি এখনও জীবিত আছেন এবং এই মানববন্ধে উপস্থিত আছেন। এসব বিভ্রান্তিমূলক তথ্যই প্রমাণ করে মামলাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হয়রানিমূলক।

এসময় বক্তারা মিলনসহ নিরীহ ও নিরাপরাধ ব্যক্তিদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই মামলা থেকে যদি বাদ দেওয়া না হয় তবে আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষণার হুশিয়ারী দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *