Spread the love

অনলাইন ডেস্ক: সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মোঃ মাহবুব আলম কর্তৃক রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) স্বাক্ষরিত ৪৬.০০.০০০০.০৬৩,২৭.০০৬.২৩ (অংশ-১)-১০৪০ নং স্মারকের পরে সাতক্ষীরার ডিডিএলজিকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহের মধ্যে রয়েছে, সাতক্ষীরা পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ না করে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়ে নিজেদের স্বার্থে লাভজনক খাতে ভুয়া প্রকল্পের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ৯২ লক্ষ ৯৭ হাজার ১৮৮ টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বেআইনীভাবে আর্থিক অনুদান দেখিয়ে ২০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ, কোন কাজ না করেই ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে পৌরসভার বিভিন্ন পদে ১০ (দশ) জন কর্মচারী নিয়োগ ও অর্থের বিনিময়ে বিধি বহির্ভুতভাবে ৪ জন মাস্টাররোল কর্মচারী নিয়োগ, অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে পৌরসভা পরিচালিত দি পোলস্টার স্কুলে কর্মচারী নিয়োগ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীন এর যোগসাজশে সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ী চালক শেখ শহিদুল্লাহকে বেআইনীভাবে অধিকাল ভাতা প্রদানের নামে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭৭১ টাকা আত্মসাৎ, ভাগ্যকুল মার্কেটের জায়গা বরাদ্দের নামে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হতে অর্থ আদায়, কোরাইশ ফুড পার্কের লাইসেন্স এর ফাইল আটকে দিয়ে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ এবং সাংবাদিকের সাথে যোগসাজশ করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের অর্থ বেশি দেখিয়ে ৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ।

স্থানীয় সরকার বিভাগের পত্রে আনীত অভিযোগসমূহের বিষয়ে তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য সাতক্ষীরার ডিডিএলজিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, কাজী ফিরোজ হাসান ও সিইও নাজিম উদ্দীন পরস্পর যোগসাজশে পৌরসভার কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে। তদন্তপূর্বক তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *