Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: মামলা তুলে না নেওয়ায় গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পরপরই সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কালাবাড়িয়া গ্রামের শরৎ ঘোষের মাছের ঘেরের বাসার সামনে রুহুল আমিন নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহতের স্ত্রী তানিয়া খাতুন বাদি হয়ে আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রীউলা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল ও ১৭জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সাতক্ষীরার আমলা-৭নং আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক মহিদুল হাসান মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামীরা হলেন, দেবহাটা উপজেলার কালাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের দুই ছেলে রেজাউল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, ঢেপুখালি গ্রামের ছবেদ আলী, রাশেদুল ইসলাম, আবুল কালাম, শামীম হোসেন, রামনাথপুরের আবুল হোসেন ও আসাদুল।

মামলার বিবরনে জানা যায়, কালাবাড়িয়া গ্রামের জমি নিয়ে আসামীদের সঙ্গে নিহতের স্বামী শিমুলিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের বিরোধ ছিল। ছিল ফৌজদারি ও দেওয়ানী মামলা। কতক আসামীর বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগে রুহুল আমিন চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি দেবহাটা থানায় জিআর-৯/২৪ নং মামলা করেন। এরপর থেকে আসামীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বার বার হুমকি দিয়ে আসছিলো। গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর বিকেল ৬টার দিকে আসামীরা বাদির স্বামীর বাড়িতে আসে। তারা রুহুল আমিনকে বাইরে আসতে বললে সে সামনের দিকের দরজার ছিটকানি লাগিয়ে পিছন দিক থেকে বেরিয়ে দৌড়ে পালাতে থাকে। আসামীরা তাকে শরৎ ঘোষের মাছের ঘেরের বাসার পাশে তাড়িয়ে ধরে ফেলে কুড়াল ও দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। রুহুল আমিনকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেবহাটা থানায় গেলে পুলিশ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়। একই ভাবে থানায় মামলা করা যায়নি। পরিস্থিতি অনুকুলে থাকায় এ মামলা দায়ের করা হলো।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী এড. হেদায়েতুল ইসলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *