Spread the love

জাহাঙ্গীর আলম: চলতি বর্ষায় সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত হয়েছে সাতক্ষীরা পৌরসভার নিম্নাঞ্চল। ফলে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার পানিবন্দী মানুষের।

সরেজমিনে সাতক্ষীরা পৌরসভার কাটিয় মাঠপাড়া, মুনজিতপুর, কুখরালী, গদাইবিল, বদ্দীপুর কলোনিতে যেয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ বাড়ি, রান্নাঘর পানিতে ডুবে গেছে। পানি উঠে গেছে মসজিদ, মাদ্রাসায়। অধিকাংশ রাস্তায় হাটু থেকে কোমর পানি। বন্ধ হয়ে গেছে পয়ঃনিষ্কাষন ব্যবস্থা। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করচেন শতশত নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধ।

সাতক্ষীরা পৌরসভার কাটিয়া মাঠপাড়া এলকার আয়েশা খাতুন বলেন, বৃষ্টির পানিতে গোটা এলাকা ডুবে গেছে। ঘরবাড়ি থেকে বের হওয়ার পরিস্থিতি নেই। আমাদেও এলাকার প্রায় পাঁচ সস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অপরিকল্পিত মাছের ঘের ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর আমরা পানিতে ডুবে যায় তবে স্থায়ী কোন সমাধান করা হয়না। বৃষ্টির পানি ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেছে। আমরা যে ঘরে ঘুমায় সেখানে হাঁটু পানি। রান্না ঘর এমনকি গোয়াল ঘরও ডুবে গেছে। ঘরের ভেতরে সাপ প্রবেশ করছে। আমরা রান্নাও করতে পারছিনা। এমনকি ল্যাট্রিনগুলোও ডুবে গেছে। আমাদের এলাকার মসজিদগুলোও পানির নিচে। মুসুল্লিরা নামাজ পড়তে পারছে না। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছেনা। ঘরের ভেতরেই ছোট বাচ্চারা পানিতে ডুবে যাচ্ছে। বৃৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে

একই এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তারা আরো বলেন, কয়েকজন প্রভাবশালী ঘের মালিক এই জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী। তারা ঘের করার জন্য বাঁধ দিয়েছে ফলে এই পানি বের হবার কোন সুযোগ নেই। প্রতিবছর আমরা ডুবে মরলেও এ ব্যাপারে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। আমরা এই জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ীভাবে পরিত্রাণ চাই। এ ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তবে আমরা নিজেরাই আইন হতে তুলে নিয়ে ঘেরের বেড়িবাধ কেটে দিয়ে পানি সরানোর ব্যবস্থা করবো।

পৌরসভার কুখরালি এলাকার মাও. রুস্তম আলী তাওহিদী বলেন, অধিকাংশ খাল ও নর্দামা আটকে রেখে ঘের করেছেন প্রবাবশালীরা। রাস্তাকে ঘেরের বেড়ী হিসেবে ব্যবহার করে ঘের করা হয়েছে। পানি নিষ্কাষণের কোন ব্যবস্থা নেই। প্রতি বছর আমরা এবাবে পানিতে নিমজ্জিত থাকি। আমরা এই জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান চাই।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোয়াইব আহমাদ বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি অতিদ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *