Spread the love

জাহাঙ্গীর আলম: সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী আনারুল
ইসলাম’কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বুধবার (১০ জুলাই) খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানাধীন চুকনগর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব- ৬, সিপিসি-১, সাতক্ষীরা এর সদস্যরা।

গ্রেপ্তার আনারুল ইসলাম আশাশুনির দূর্গাপুর গ্রামের মৃত করিম বক্সের ছেলে।

বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আশাশুনি উপজেলার দূর্গাপুর এলকার নবমুসলিম এক গৃহবধূর প্রথম স্বামী মৃত্যু বরণ করার পর থেকে আনারুল ইসলাম বিভিন্নভাবে তাকে ফুসলাইয়া ধর্মান্তর করে বিবাহ করে। বিবাহের পর যৌতুকের দাবি করে মারপিঠ করলে ভিকটিম একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। এরপর এজাহারভুক্ত ২ নং আসামী তাদের বিরোধ নিস্পত্তি করে দিবে বলে আশ্বাস দেন। এক পর্যায়ে ভিকটিম আশ্বস্ত হয়ে ২নং আসামীর কথায় রাজি হয়।
২নং আসামী গত ১৫ মে বিকালে ভিকটিমকে সাতক্ষীরা পৌর কমিশনারের অফিসে আপোশ মিমাংশার জন্য রাত ৮ টায় বসার জন্য ডাকে এবং তার স্বামীও ওই সময় আসবে বলে ২নং আসামী তার তার নিজ বাড়িতে কালক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে একই তারিখ রাত্র অনুঃ ৯টার দিকে ১নং আসামী একটি ইজি বাইকসহ ২নং আসামীর বাড়িতে এসে ভিকটিম ও ২নং আসামীকে নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে কমিশনার আসতেছে মর্মে ভিকটিমকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকার একপর্যায়ে একই রাত দেরটার দিকে সাতক্ষীরা পৌরসভাস্থ ষ্টেডিয়াম ব্রিজ পার করে রেজিস্ট্রি অফিস রোডে গাড়ী থামাইয়া আসামীদ্বয় চেতনানাশক কিছু শুকাইয়া ভিকটিমকে অজ্ঞান করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর গত ২৩মে ভিকটিম একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামী আনারুল ইসলাম তার অপকর্ম থেকে বাঁচার জন্য নিজেকে আত্মগোপন করে। মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকেই প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। র‍্যাব-৬,
সিপিসি-১, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আসামীদের গ্রেপ্তারের লক্ষে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। এরপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চুকনগর বাজার থেকে প্রধান আসামী আনারুল ইসলামতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার আসামীকে বিধি মোতাবেক সাতক্ষীরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *