Spread the love

জাহাঙ্গীর আলম: সাতক্ষীরা সদরের মুনজিতপুর এলাকায় অবস্থিত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র বা মেটার্নিটি হাসপাতালের এম্বুলেন্স ড্রাইভার করিম ওরফে সাজ্জাদের বিরুদ্ধে কর্মস্থলেই মাদক সেবনসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মাস্টার রোলে চাকুরিকরা এই মেটার্নিটি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের নাম মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (৫০), তার গ্রামের বাড়ি ঢাকা জেলায়। এখানে তিনি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হিসাবেই নিয়জিত আছেন। ড্রাইভার হলেও তাকে খুব বেশি একটা অ্যাম্বুলেন্স চালাতে দেখেননা এলাকার কেউই। ২৪ ঘন্টার মধ্যে অর্ধেক সময়ই তিনি হাসপাতালে অবস্থিত তার বাসভবনে মাদক ও মেয়ে মানুষ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। বাকি অর্ধেক সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর লোগো যুক্ত বিভিন্ন ধরনের সিভিল কাপড়চোপড় ও মাক্স পড়ে মোটরসাইকেলে চড়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত ঘুরে বেড়ান তিনি।

সূত্রে আরও জানা যায়, ড্রাইভার সাজ্জাদ হোসেন সাতক্ষীরার ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় গিয়ে পরিবেশ বুঝে নিজেকে আর্মি, পুলিশ ও ডিসি অফিসের কর্মকর্তা হিসাবে পরিচয় দেন। এছাড়া শহরের অধিকাংশ ছোট বড় চায়ের দোকানগুলীতে বড় সাহেব সেজে খু্ব দাপট দেখিয়ে চলাফেরা করেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে শহরের সঙ্গীতার মোড় এলাকায় রাতে নিজে নিজেই মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারাত্মক ভাবে দুর্ঘটনার শিকার হন ড্রাইভার সাজ্জাদ। এর আগে তাকে খুব বেশি দেখা না গেলেও বর্তমানে দুর্ঘটনার পর থেকে তাকে এলাকায় এবং তার হাসপাতালের আশপাশের চায়ের দোকান গুলিতে প্রায় সময় দেখা যায়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানান, এই ড্রাইভার প্রায় সময় বিভিন্ন বয়সের ছেলে মেয়েদের এনে নিজের ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন ও কাজের লোক পরিচয় দিয়ে তার ঐ ঘরের ভিতরে তাদের সাথে মাদক সেবনসহ অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকে। আর এসব যাতে বাহিরে থেকে কেউ কোনো ভাবেই দেখতে না পারে সে জন্য তার রুমে ওঠার সিঁড়ি থেকে শুরু করে বারান্দা সহ সমস্ত জায়গায় কাপড় টানিয়ে ঢেকে রাখেন তিনি।

‘তাকে কেউ কিছু বলে না কেনো’ এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয়রা জানান, তাকে বললে কি হবে ? সে সরকারি চাকরির দাপট দেখাবে। তাছাড়া তার হাসপাতালের অন্যান্য সহকর্মীরা যখন সব কিছু জেনেও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে চুপ করে থাকে তখন আমরা আর কি বলবো।

এ প্রতিবেদক অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের কাছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সবকিছু অস্বীকার করেন এবং এই বিষয়ে বেশি ঘাটাঘাটি করলে প্রতিবেদককে মামলা হামলার হুমকি দেন তিনি।

সাতক্ষীরা মাতৃসদনের মেডিকেল অফিসার ডা. লিপিকা বিশ্বাস বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। এখন যেহেতু জানলাম সেহেতু উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *