Spread the love

অনলাইন ডেস্ক: বিয়ের দাবিতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে প্রেমিকের বাড়িতে দুইদিন ধরে অনশন করছেন মেরিনা আক্তার (২৪) নামে এক নারী। তিনি উপজেলার পুইশুর ইউনিয়নের দেবাশুর গ্রামের এসএম মিজানুর রহমানের মেয়ে। স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন। তার একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।

শনিবার (৮ জুন) থেকে উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামে প্রেমিক আরাফাত মোল্যার বাড়িতে এ অনশন শুরু করেছেন তিনি। আরাফাত একই গ্রামের জুলফিকার মোল্যার ছেলে। এ ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত আরাফাত।

এ দিকে বিয়ের দাবি না মানলে প্রেমিকের বাড়িতে আমরণ অনশন করার ঘোষণা দিয়েছে ওই নারী।

জানা গেছে, ৬ মাস আগে চাকরির জন্য ওই নারী গোপালগঞ্জ শহরে গিয়েছিলেন। বাসে করে বাড়িতে ফেরার সময় পরিচয় এক সন্তানের জনক আরাফাত মোল্যার সাথে। এরপর থেকে তাদের দু’জনের মুঠোফোনে কথা হয়। গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান তারা। একাধিকবার বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক করেন। এক সময় বিয়ের জন্য ওই নারী আরাফাতকে চাপ দিলে নানা তালবাহানা করেন। এক পর্যায়ে বন্ধ করে দেয় মুঠোফোনসহ সব ধরণের যোগাযোগ মাধ্যম। ওই নারী আরাফাতের খোঁজে ছুটে আসেন তার বাড়িতে। এসে জানতে পারেন- এর আগেও একাধিকবার একই ঘটনা ঘটিয়েছেন আরাফাত। এমনকি তার স্ত্রী-সন্তানও রয়েছে। নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী। দুইদিন ধরে ওই নারী অবস্থান করলেও মেলেনি কোন আশ্বাস।

এদিকে, ওই প্রেমিকা আসার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক আরাফাত। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন ওই নারী। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

ভূক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আরাফাত আমার সাথে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক করেছে। আমার সর্বনাশ করেছে সে। এখন বিয়ে না করলে আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না। মরা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।’

অভিযুক্ত আরাফাত মোল্যা আত্মগোপনে থাকায় এ বিষয় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কাশিয়ানী থানার রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ ধরণের কোন অভিযোগ পাইনি। তবে ওই নারী অভিযোগ দিলে তাকে আইনি সহায়তা করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *