জাহাঙ্গীর আলম: গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ১২০০ পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করেছে কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (১ জুন) বিকাল ৪ টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর বনশ্রী শিক্ষানিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি থেকে খাবার বিতরণ করেন বাংলাদেশ আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি।
শ্যামনগর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দারের সভাপতিত্বে খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন এমপি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সদস্য গ্লোরিয়া ঝরণা, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আতাউল হক দোলন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লাইলা পারভিন সেঁজুতি, স্বেচ্ছাসেবকলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু হানিফ, সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহম তারেক উদ্দীন ও আসাদুজ্জামান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জিএম ফাত্তাহ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা শিমুন শামস, সাংস্কুতিক বিষয়ক সম্পাদক শামিমা পারভীন রত্না, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক গাজী আনিচ, সদস্য কোহিনুর ইসলাম ও মুন্নি, সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী ফিরোজ হাসান, সাধারণ সম্পাদক অয়ন, শ্যামনগর উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি জাফরুল আলম বাবু, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অসিম মৃধা প্রমূখ।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন, মানুষের দুঃখ কষ্ট নিয়ে আমরা রাজনীতি করিনা। আমরা মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি। জননেত্রী শেখ এদেশের মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। এদেশের মানুষকে নিয়েই তার ধ্যানজ্ঞান। তিনি আপনাদের পাশে আছেন। তিনি প্রতিটি মানুষের কল্যাণে তিনি চেষ্টা করেন। তিনি আমাদের বলেছেন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কল্যাণেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা রেমালের আঘাতের আগেই আমাদের সজাগ থাকতে বলেছিলেন। তিনি আ.লীগের নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বপ্রস্তুতি নিতে। এই ঝড়ে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে কৃষকের। তবে ঝড়ের পরপরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। অসহায় মানুষের কাছে ছুটে গিয়েছেন এবং ত্রাণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন। তার নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আপনাদের সুপেয় পানি ও নিশ্চয়তার জন্য, বেড়ীবাঁধ রক্ষার ব্যাপারে প্রধানমন্তীকে জানাবো। যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।