অনলাইন ডেস্ক: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জিম্মি এলাদ কাতজিরের মরদেহ উদ্ধার করার পর আবারও তেল আবিবসহ ইসরায়েলের অন্যান্য শহর জুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
জিম্মি-মুক্তি-চুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে প্রায় লাখ খানেক মানুষ তেল আবিবের সবাবেশে সমাবেত হয়েছেন।
তারা স্লোগান দিচ্ছেন ‘এখনই নির্বাচন’ এবং ‘এলাদ, আমরা দুঃখিত’।
গতকাল (৬ এপ্রিল) গাজা থেকে এলাদের মরদেহ উদ্ধার করে আইডিএফ। গত ৭ অক্টোবর নির ওজ নামের একটি এলাকা থেকে তাকেসহ আরও কয়েক জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল হামাস। গত জানুয়ারিতেও হামাস প্রকাশিত এক ভিডিওতে এলাদকে জীবিত দেখা গিয়েছিল।
বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামাসের হাতে থাকা প্রায় ১৩০ জিম্মিকে মুক্ত করতে ইসরায়েল সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরাও এই সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেন।
এলাদের বোন কারমিট পালটি কাতজির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে বলেছেন, তারা একটি নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হলে এলাদ জীবিত ফিরে আসতেন। আমাদের নেতৃত্ব কাপুরুষ এবং রাজনীতি দ্বারা চালিত যে কারণে এই চুক্তিটি এখনো হয়নি। খবর বিবিসি
বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের প্রায় ৫০টি জায়গায় সমাবেশ করেছে। এর মধ্যে তেল আবিবের বিক্ষোভের মধ্যে একটি গাড়ি ঢুকে পড়েছিল। এতে পাঁচজন আহত হন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ২৫৩ ইসরায়েলি ও বিদেশিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। প্রায় ১২৯ জন জিম্মি এখনো গাজায় রয়ে গেছেন। ধারণা করা হয় তাদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জন মারা গেছেন। আইডিএফ এরই মধ্যে ১২টি মরদেহ উদ্ধার করেছে।