নিজস্ব প্রতিনিধি: দ্রুত সময়ের মধ্যে কাস্টম হাউস চালু ও ভোমরা বন্দরের সাথে বেনাপোল বন্দরের ফলজাতীয় পণ্যে রাজস্ব আদায়ের বৈষম্য নিরসনের দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানি কারক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সোমবার (১১ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভোমরা স্থলবন্দরে কাস্টমস হাউজের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমদানি ও রপ্তানি কারক অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ আশা করে যে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আসন্ন বাজেট অধিবেশনের আগেই কাস্টমস হাউস বাস্তবে রূপ লাভ করবে।
স্মারক লিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতীয় ফলজাতীয় পণ্যে ভোমরা ও বেনাপোল বন্দরের রাজস্বের তারতম্যের কারণে আমদানি কারকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। আমদানিজাত আঙুর, আনার ও কমলালেবুর প্রতিটি ট্রাকে ২ লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকার রাজস্বের তারতম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত ৩ মার্চ বেনাপোল ও ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানিত জাত একই ওজনের একটি আঙুর ফলের ট্রাকে প্রায় ৩লক্ষ টাকা রাজস্ব’র ব্যবধান পরিলক্ষিত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহের বেনাপোল ও ভোমরা বন্দরের বিল অব এন্ট্রি পর্যচালনা করলে রাজস্ব আদায়ের বাস্তব চিত্র পাওয়া যাবে। বেনাপোল বন্দরের ওয়েব্রিজের স্কেলের কার সাজি ও টি আর ওজনের তারতম্যের কারণে সমপরিমাণের ফলের ট্রাকে রাজস্বের ব্যবধান পরিলক্ষিত হয়। যার কারনে আমদানি কারকরা ভোমরা বন্দর ত্যাগ করে বেনাপোল বন্দরের দিকে ঢুকে পড়েছে। পাশাপাশি দুটি বন্দরের রাজস্ব বৈষম নিরসনে দাবি জানানো হয়েছে।
ভোমরা স্থলবন্দর আমদানি ও রফতানি কারক এ্সোসিয়েশনের সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুর রহমান সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর উক্ত স্মারকলিপিটি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে স্মারকলিপিটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট ফরোয়ার্ডিং দিয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।