নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার দেবহাটায় গৃহবধূ সাইমা খাতুন (১৮)কে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্বামী তানজিন ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার তানজিন ইসলাম দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে এবং সাইমা খাতুনের বাবার বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া মৌখালি গ্রামে।
শনিবার (৯ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূ সাইমা খাতুনের মরদেহটি উদ্ধার করে দেবহাটা থানা পুলিশ।
সাইমার মা রাবেয়া খাতুন বলেন, রাত ১২টার দিকে মেয়ে সাইমা খাতুন গুরুতর অসুস্থ উল্লেখ করে বেয়াই আব্দুস সবুর আমাদেরকে ফোন করেন। ঘন্টাখানেক পর মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে সাইমা খাতুনকে মৃত অবস্থায় দেখি। হঠাৎ অসুস্থতার কারণে সাইমার মৃত্যু হয়েছে বলে সেসময় আমাদেরকে জানান শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
সাইমার শ্বশুর আব্দুস সবুর জানান, জিনের আছর থাকায় মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ছিলেন ছেলে তানজিন ইসলাম। মাসে দু-এক বার উন্মাদ হয়ে উঠতো সে। তখন গুনিন দিয়ে ঝাড়-ফুক করলে আবার স্বাভাবিক হয়ে যেত তানজিন। শুক্রবার দুপুরে তানজিন আবারও উন্মাদ হয়ে উঠলে ঝাড়-ফুকের জন্য আশাশুনি থেকে গুনিন আব্দুস সেলিমকে বাড়িতে ডাকেন তিনি। স্বাভাবিক হওয়ার পর রাতের খাবার খেলে ছেলে তানজিন ও পুত্রবধূ সাইমা একত্রে ঘুমাতে গিয়েছিল। আর গুনিন আব্দুস সালামকেও রাতে ওই বাড়িতে রাখা হয়েছিল। রাত ১২টার দিকে ছেলে তানজিনের ডাকে ঘুম থেকে উঠে পুত্রবধূ সাইমাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান তারা। পরে পুত্রবধূ সাইমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বেয়াইয়ের বাড়িতে ফোন করেন। ’
দেবহাটা থানার ওসি সেখ মাহমুদ হোসেন বলেন , প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী সাইমা খাতুনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তানজিন হোসেন। সাইমার গলা ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দ্বায়ের করেছেন।