নিজস্ব প্রতিনিধি: টিসিবির মাল আত্মসাতের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বহিস্কৃতেএবং নাশকতাসহ একাধিক মামলার আসামী মোক্তার হোসেনের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরার আশাশুনির মির্জাপুর গ্রামের কামরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আনুলিয়া গ্রামের মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে নাশকতা, ধর্ষনসহ ৭টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে হওয়ার মামলা গুলো হল ১। জি আর ১৮, তাং- ০৬/০৯/১৩, ২। জি আর ১৪, তাং-১৬/০৬/২০২২, ৩। জি আর ১ তাং-০১/০৬/২৩, ৪। জি আর ১৬/৬৪, তাং- ২৫/০৭/২২, ৫। জি আর ২৮৩, তাং- ৩০/০৭/২০২২, ৬। জি আর ৬৯/২৩, তাং- ২৮/০৩/২৩, এবং জি আর ৮১/২৩, তাং- ২৮/০৩/২৩, তার বিরুদ্ধে হওয়া ধর্ষন মামলার স্বাক্ষী আমার পুত্র। ইতিমধ্যে বার বার আমার পুত্রকে স্বাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রলোভন দেখালেও আমার পুত্র রাজি না হওয়ায় আমাকেসহ আমার পুত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করেছে মোক্তার হোসেন। এর জের ধরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আনুলিয়ার একজন মৃত ব্যক্তির জানাযা নামাজ শুরু পূর্বে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। জানাজা নামাজে উপস্থিত মুসুল্লীরা তার হাত থেকে আমাকে রক্ষা করেও সে সময় আমাকেসহ আমার পুত্রকে খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে মোক্তার।
তিনি আরো বলেন, মোক্তার হোসেন গরিবের জন্য বরাদ্দ হওয়া সরকারি টিসিবির মাল আত্মসাত করে। যে কারনে গতবছরের ৫ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া স্থানীয় সংখ্যালঘুদের প্রার্থনার স্থান আনুলিয়া কালিবাড়ী মন্দিরের নামীয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে। তার ভয়ে এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ভীতুসন্ত্রস্থ থাকে। এতগুলো মামলা রয়েছে তার পরও অজানা কারনে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। যে কারনে এলাকায় বীরদর্পে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে ওই মোক্তার হোসেন। আমি ওই মোক্তার হোসেনের কবল থেকে এলাকার মানুষকে রক্ষায় এবং আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।