এসভি ডেস্ক: দিনাজপুরে চাঞ্চল্যকর নারী হোটেল শ্রমিক জয়া বর্মণ সুন্দরী (৩৫) হত্যার মামলার প্রধান আসামি মো. তরিকুল ইসলাম চান্দুকে (৩০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় পরকীয়া প্রেমিক চান্দু প্রকাশ্যে জয়া বর্মণ সুন্দরীকে হত্যা করেছে বলে দিনাজপুর পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিং এ জানিয়েছেন।
আজ রবিবার (১ অক্টোবর) ভোরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাট বাজারের মাহিন সুইট নামে এক হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আজ রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোমিনুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দিনাজপুর শহরের মির্জাপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় কালুর মোড়ে বিসমিল্লাহ হোটেলের সামনে জয়া বর্মন সুন্দরীকে দা দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান তরিকুল। সুন্দরীর একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।মাথা ও ঘাড়ে মারাত্মক জখম হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা সুন্দরীকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সেখার তার মৃত্যু হয়।
নিহত হোটেল শ্রমিক জয়া বর্মন সুন্দরী ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বানডাঙ্গা গ্রামের সপাল রায়ের স্ত্রী। তারা দিনাজপুর শহরের ফকিরপাড়া মহল্লায় আব্দুস সামাদের বাসায় বাড়া থাকেন।
অভিযুক্ত মো. তরিকুল ইসলাম চান্দু দিনাজপুরের সদর উপজেলার মুরাদপুর দামপুকুর গ্রামের আসরাফ আলী ও তাহমিনা দম্পতির পালিত ছেলে। তিনিও পেশায় একজন হোটেল শ্রমিক।
ঘাতক তরিকুল চান্দু পুলিশকে জানান, পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রী মারা যান। এরপর থেকে তিনি বাস টার্মিনালে হোটেল সাউদিয়ায় বয় হিসেবে কাজ করেন। সেখানেই কাজ করতেন জয়া বর্মন সুন্দরী। একই সঙ্গে কাজ করার সুবাদে তাদের দু’জনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি যা আয় করতেন তার বেশিরভাগ অংশই জয়া বর্মন সুন্দরীকে দিতেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে জয়া বর্মন সুন্দরীর বাসাতেও রাত্রিযাপন করতেন। তবে ছয় মাস ধরে তরিকুল স্বামীকে ছেড়ে তাকে বিয়ে করার জন্য জয়াকে চাপ দেন। কিন্তু সম্পর্ক চালিয়ে যেতে রাজি হলেও বিয়ে করতে রাজি হননি জয়া। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধের জেরে সুন্দরীকে সে হত্যা করে। ঘাতক চান্দুকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।