ডেস্ক রিপোর্ট: গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে ২জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ইজিবাইকের ৫ যাত্রী। বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিকে ১ কিলোমিটার ধাওয়া করে অগ্নি সংযোগ করে। এসময় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উভয় পাশে যানযটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ওই সড়কে চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার দাসেরহাট নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক মো.আবু নোমান।
নিহতরা হলেন, কাশিয়ানি উপজেলার মহেশপুর গ্রামের আকমাল শেখের স্ত্রী রানু বেগম (৬০) ও একই গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে হায়াত শেখ (৬৫)। আহতরা হলেন, মহেশপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক ফুলমিয়া (৪৫), লামিয়া (১৫), জাবেদা (৪৫) খুকি বেগম (৪৭) । নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী দাসেরহাট গ্রামের আবেদ আলী শেখ জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দোলা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস খুলনার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার দাসেরহাট বিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে একটি বাসকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে কাশিয়ানী থেকে ছেড়ে আসা মুকসুদপুর গামী একটি ইজিবাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন।
এসময় ঘাতক বাসটিকে এক কিলোমিটার ধাওয়া করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে মহাসড়কের উভয় দিক জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনা স্থলে পৌঁছে ১৫ মিনিটের চেষ্টায় বাসের আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এদিকে হতাহতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। আহতদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ পরিদর্শক মো. আবু নোমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে ১জনের মৃত্যু হয়। মহাসড়কে দুপুর ১২ টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ১৫ মিনিটের মধ্যে বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে। এ ব্যাপারে আইনানুর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।