আশাশুনি প্রতিনিধি: সরকার বিরোধী নাশকতা ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকান্ডের উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠকের অভিযোগে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ৩টি ককটেল এবং ককটেল বিস্ফোরিত অংশ, দা ও লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(২৮ মার্চ) রাত ১টার দিকে আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা ফকির বাড়ী হাইস্কুল মাঠ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে নিশ্চিত করেছেন আশাশুনি থানার ওসি মমিনুল ইসলাম।
গ্রেপ্তাররা হলেন, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা নোওয়াব আলী সরদারের ছেলে রবিউল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও আশাশুনি সদরের মৃত আব্দুল মাজেদ সরদারের ছেলে শরিফুল আহসান টোকন, আওয়াল সরদার ছোট, খালিদ হোসেন সরদারের ছেলে যুবদল নেতা আখতারুজ্জামান, শ্রীউলা ইউনিয়নের লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের মৃত. ওমর সিদ্দিক মল্লিকের ছেলে আব্দুল মালেক মল্লিক, বকচর গ্রামের মৃত লোকমান সরদারের ছেলে যুবদল নেতা আলামিন ইসলাম, মহিষকুড় গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মোল্যার ছেলে বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন মোল্যা, বড়দল গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার সানার পুত্র যুবদল নেতা লুৎফুল আলম লতিফ সানা ও খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামের কেরামত মোল্যার ছেলে যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম।
আশাশনি থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকার বিরোধী নাশকতা ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকান্ড করার জন্য বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা ফকির বাড়ী হাইস্কুল মাঠে অভিযান চালানো হয়। তখন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বোমা ফাঁটিয়ে পালানোর চেষ্টা কালে ৩টি ককটেল এবং ককটেল বিস্ফোরিত অংশ, দা ও লাঠিসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এব্যাপারে থানার এসআই মহিতুর রহমান বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৮ জনসহ নাম উল্লেখ করে ২০ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জনকে আসামী করে আশাশুনি থানায় ৩৩(০৩)২৩ নং মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’