Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ তের বছর পর সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সকাল ১০টায় সদরের নবারুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫ম শ্রেণীর ১৪৩৫ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। তবে পরীক্ষা সাধারণ খাতায় নয়, বুকলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুকলেটে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এই চার বিষয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয় থেকে ২৫ নম্বরের প্রশ্ন এসেছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা পরীক্ষা তদারকি করেছেন।

পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক গাজী হাবিব বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পুণরায় বৃত্তি পরীক্ষা চালু হওয়ায় বাচ্চাদের পড়ালেখায় উৎসাহ ও মনোযোগ বেড়েছে। আমরা অভিভাবকরা তো এটাই চাই, যেন বাচ্চারা আগ্রহী হয়। বৃত্তি পাক কিংবা না পাক, এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরে বাচ্চারা খুব খুশি।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গণি বলেন, সদরের ২৪৩ টি প্রতিষ্ঠানের ১৪৫২ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার কথা থাকলেও ১৭ জন অনুপস্থিত ছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা নতুন নিয়মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ টি বিষয়ে ১০০ নম্বরে পরীক্ষা হয়। সুস্থ, সুন্দর পরিবেশে ছাত্র ছাত্রীদের উত্তরপত্র ও প্রশ্ন ছাড়াই বুকলেটের মাধ্যমে ২ ঘন্টায় পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে সর্বশেষ প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর থেকে আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা আর হয়নি। করোনার কারণে গত দুই বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা আয়োজন সম্ভব হয়নি। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করে পরীক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *