Spread the love

কলারোয়া প্রতিনিধি: বরের আসন থেকে শুরু করে বিয়ের সকল আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ। রান্নাও চলছিল বর পক্ষ ও আত্মীয়স্বজনের জন্য। বর পৌঁছালেই বিয়ে হবে, এমন অপেক্ষায় কনেপক্ষ! কিন্তু বর পৌঁছানোর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অভিযানে বন্ধ হয় দশম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে।

কনের জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি করে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে বিয়ে বন্ধসহ কনের বাবাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও রুলী বিশ্বাসের পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাদিয়ালি গ্রামের কার্জন বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

কলরোয়ায় কনেপক্ষকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে উপজেলা প্রশাসন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুলী বিশ্বাস বলেন, ‘উপজেলায় একটি বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন সংবাদ আমাদের কাছে আসে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রমাণ পাওয়া যায় ভাদিয়ালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীর জাল নিবন্ধনপত্র তৈরি করে ১৮ বছর বয়স দেখিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজন করেন কনের পরিবার। পরে জন্ম নিবন্ধন পত্রে জালিয়াতি ও বাল্যবিবাহের অপরাধে কনের বাবাকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৫ / ৩ ধারামতে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

ভাদিয়ালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিদ্যালয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করলেও অভিভাবকেরা মানতে চায় না। গোপনে স্কুল পড়ুয়া অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে দেন তারা। করোনাকালীন অধিকাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। লেখাপড়া ও সংসার জীবন সমাজে দুটিই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু মেয়েদের বাল্যবিয়ে দিলে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকেই তারা ঝরে পড়ে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *