Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরার শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) আব্দুল জলিল কর্তৃক শহরের মেহেদীবাগ রসুলপুর গ্রামে মজিবর রহমানের স্ত্রী মোমেনা খাতুনের জাল স্বাক্ষর করে তার হিসাব থেকে সর্বমোট ১১ লাখ ৯০ হাজার ৬০ টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাতের প্রতিবাদে ও টাকা ফেরত দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেকাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী মোমেনা খাতুন।

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী সাতক্ষীরা সোনালী ব্যাংকে পিয়ন পদে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে একই ব্যাংকে ওই সময় চাকুরীরতকালীন সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) আব্দুল জলিলের সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর এই সুসম্পর্কের জেরে সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখায় আমার নিজ নামীয় মোমেনা ডেইরি ফার্মের ২৮১৮৩০২০০০৯৭২নং একটি চেক বই আব্দুল জলিল এর নিকট গচ্ছিত রাখি। অথচ তিনি আমার গচ্ছিত আমানত খেয়ানত করেন। তিনি জাল স্বাক্ষর করে আমার নিজ নামীয় ওই চেক বই থেকে গত ১০-১১-২০১৬ তারিখে ২৮১৮৩০০১৮০১ নং চেক হতে ৬ লাখ টাকা, ২৮১৮৩০০১৮০২ নং চেকের পাতা থেকে ১০ হাজার টাকা, গত ১৩-১১-২০১৬ তারিখে ২৮১৮৩০০১৮০৩ নং চেক হতে ৭৫ হাজার টাকা, গত ১৪-১১-২০১৬ তারিখে ২৮১৮৩০০১৮০৪ নং চেক থেকে ২ হাজার টাকা, গত ১৫-১১-২০১৬ তারিখে ২৮১৮৩০০১৮০৫ নং চেক থেকে ১ লাখ ৩ হাজার ৫৬০ টাকা, গত ২০-১১-২০১৬ তারিখে ২৮১৮৩০০১৮০৬ নং চেক হতে এক হাজার ৫০০ টাকা, গত ২৩-১১-২০১৬ তারিখে ২৮১৮৩০০১৮০৭ নং চেক হতে ১ লাখ টাকা ও গত ৩১-০৮-২০১৭ তারিখে ২৮১৮৩০০১৮১০ নং চেক হতে ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১১ লাখ ৯০হাজার ৬০ টাকা তুলে নিয়ে তা সম্পূর্ণ আতœসাৎ করেন। একপর্যায়ে আমি ব্যাংকে গিয়ে দেখি আমার একাউন্টে কোন টাকা নেই। তখন আমি উল্লিখিত বিষয় প্রতারক আব্দুল জলিলকে জানালে তিনি সঠিক কোন জবাব না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। এ ব্যাপারে আমি সোনালী ব্যাংক প্রিন্সিপাল অফিস খুলনার জি.এম বরাবর গত ২৮/১১/২০২১ ইং তারিখে এ ঘটনা প্রতিকার দাবি করে একটি আবেদন করি। কিন্তু আজও কোন ন্যায় বিচার পাইনি। আব্দুল জলিল বিভিন্ন সময়ে বিভন্ন মারফতে ও লোক দিয়ে আমাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

তিনি আরো বলেন, আমি ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য যখনই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের স্মরণাপন্ন হয়েছি ঠিক তখনিই তার কাছে থাকা আমার দুটি চেকে জাল স্বাক্ষর করে একটি কালিগঞ্জের কোমরপুর গ্রামের নিরঞ্জন কর্মকারের ছেলে সম্ভুচরণ কর্মকার দিয়ে ১০ লাখ টাকার ও অপরটি একই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আকতার আলীর স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে দিয়ে আদালতে আমার বিরুদ্ধে আরো ৮ লাখ টাকার দুটি চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন। এভাবে আব্দুল জলিল প্রতারণা ও দুর্নীতির মাধমে আমাকে সর্বশান্ত করেছেন। আমি বর্তমানে আমার স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় নিজকে একজন অসহায় নারী দাবী করে প্রতারক আব্দুল জলিলের হাত থেকে তার টাকা ফেরতসহ তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অঅশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

By S V

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *