Spread the love



নাজমুল শাহাদাৎ জাকির: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলীয় এলাকার  শিক্ষার্থী রুহানী খাতুন। চলতি বছর তাকে শিশু শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়। তবে করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাই এখনও ক্লাসে বসার সুযোগ হয়ে উঠেনি তার। তার মতো একই অবস্থা প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সারিকা খাতুনেরও। বিদ্যালয়ে বসার সৌভাগ্য হলেও শিক্ষকের ক্লাস করার সৌভাগ্য হয়নি তার।

রুহানী-সারিকার মতো শ্যামনগর উপজেলার ১৭৯নং চরচন্ডীপুর  সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীর অর্ধশত শিক্ষার্থীর অবস্থা একই রকম। এই বিদ্যালয়ে ১৭৩জন শিক্ষার্থী ভর্তি আছে। তাদের অধিকাংশরই জন্ম দরিদ্র পরিবারে। তাদের অনেকের পরিবারের কোন সদস্যের প্রযুক্তি সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। আবার যাদের ধারণা আছে তারা তাদের সন্তানকে অনলাইন ক্লাসের আওতায় আনলেও নের্টওয়াক জনিত সমস্যার কারনে অনলাইনে ক্লাসে সেভাবে কোনকিছু বুঝতে পারেন না। তবে বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী যেনো ঝরে না যায় সেকারনে বিদ্যালয়টিতে অধ্যায়ণরত ১৭৩জন শিক্ষার্থীদের বাসায় বাসায় যেয়ে ওয়ার্কসিট বিতরণ করে চলেছেন বিদ্যালয়টিতে কর্মরত ৪জন শিক্ষক। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে ও শিক্ষার্থীর মনোবল অক্ষুণ্ণ রাখতে দিনের পাশাপাশি রাতেও শিক্ষার্থীদের বাসায় বাসায় যেয়ে পাঠদান করাচ্ছেন বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাওঃ মাহমুদুন নবী। চর চন্ডীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো একই অবস্থা পাশ্ববর্তী ১৭৭ নং ইশ্বরীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও। প্রত্যান্তঞ্চলে অবস্থিত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ২১৬জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে অনলাইন ক্লাসে  (গুগোল মিট) ১৬জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করানো সম্ভব হচ্ছে। তবে বিদ্যালয়টির সকল শিক্ষার্থীদের বাসায় বাসায় যেয়ে ওয়ার্কসিট বিতরণ, পাঠদান চলছে নিয়মিত। তবে ৫জন শিক্ষকের বিপরীতে ২১৬ জন শিক্ষার্থীদের বাসায় বাসায় যেয়ে নিয়মিত পাঠদান করানোটাও কতটুকু সম্ভব? সেটা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। তারপরেও শিক্ষার্থী যাতে ঝরে না পড়ে সেকারনে কখনো নৌকা কখনো বা সাঁকো পার হয়ে পায়ে হেঁটে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে যেয়ে পাঠদান করাচ্ছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক এম,এম আমজাদ হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।

করোনাকালীন সময়ে যেন কোন শিক্ষার্থী ঝরে না পড়ে সেজন্য বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের বিকল্প উপায় হিসেবে টেলিভিশন ও অনলাইনে সরকার কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও এর সুফল থেকে বঞ্চিত অনেক শিশুই। দারিদ্র্য ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার মতো কারণগুলোই মূলত এর জন্য দায়ী।

সরকার অনলাইন শিক্ষা চালু করলেও দরিদ্র বাবা-মায়ের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ণরত শিক্ষার্থীদের ভিতরে প্রযুক্তির মাধ্যমে এই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৬২হাজার ৬৮৫জন শিক্ষার্থী। করোনার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ছোট ভাই ও বন্ধুদের সাথে খেলা করেই সময় কাটছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়ণরত এসকল শিক্ষার্থীদের। তাদের পরিবারেরও সামর্থ নেই অনলাইনে পড়াশুনার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার। 

জেলার ১হাজার ৯৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১লক্ষ ৯৯হাজার ৮৮৬জন শিক্ষার্থীর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ চর চন্ডীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুহানী-সারিকার মতো দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারের। যাদের নেই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট। নেই টেলিভিশনও। ফলে সরকারের অনলাইনের ক্লাস বা টেলিভিশনে পাঠদানের উদ্যোগ খুব একটা কাজে আসছে না। এদিকে, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে চলছে অনলাইনে পাঠদান। এতে মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থী সুফল পেলেও সমাজে বৈষম্য বাড়ছে। 

সাতক্ষীরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, জেলার সাতটি উপজেলার ভিতরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ২০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।এসকল শিক্ষা  শিক্ষার্থী রয়েছে সদরে ৩৮হাজার ৮৪৯জন। এর ভিতরে ৮হাজার ৮২৫ জন শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন থাকলেও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকাই মাত্র ১হাজার ২৯৫জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে জড়িত। আর টিভিতে ৭হাজার ৭৩৭জন, রেডিওতে ২হাজার ৪০জন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ১৯হাজার ৫৪৫জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ৮হাজার ২৩২ জন শিক্ষার্থীকে কোনভাবে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। কলারোয়াতে ১২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৫হাজার ৪৫০জন। এর ভিতরে ৬হাজার ২০২জন শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন থাকলেও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকাই মাত্র ৩হাজার ৮২৫জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে জড়িত। আর টিভিতে ৩হাজার ৮২০জন, রেডিওতে ৩হাজার ৪৩৬জন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ৫হাজার ৬৩৭জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ৮হাজার ৭২২ জন শিক্ষার্থীকে কোনভাবে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তালায় ২১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থী রয়েছে  ৩০হাজার ৯৬জন। এর ভিতরে ৬হাজার ৩৬৮জন শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন থাকলেও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকাই মাত্র ৩হাজার ৭৭৩জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে জড়িত। আর টিভিতে ৩হাজার ৭৬৫জন, রেডিওতে ২হাজার ২০০জন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ৮হাজার ৫২৪জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ১১হাজার ৮৩৪জন শিক্ষার্থীকে কোনভাবে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সবচেয়ে কম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেবহাটায়। এখানে ৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছে  ১১হাজার ৪০১জন। এর ভিতরে ৩হাজার ৮২জন শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন থাকলেও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকাই মাত্র ২হাজার ৭৬৩জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে জড়িত। আর টিভিতে ২হাজার ৭৫৫জন, রেডিওতে ১৮৭জন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ৫হাজার ৫৬৪জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ১৩২ জন শিক্ষার্থীকে কোনভাবে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

জেলার সর্বশেষ উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরে ১৯১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  শিক্ষার্থী রয়েছে  ৩৬হাজার ৯৬৫জন। এর ভিতরে ১৫হাজার ২৮৬জন শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন থাকলেও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকাই মাত্র ২হাজার ৮৪২জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে জড়িত। আর টিভিতে ৫হাজার ৭২৭জন, রেডিওতে ৬হাজার ১৭৫জন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ২হাজার ৫৪০জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ১৯হাজার ৬৮১ জন শিক্ষার্থীকে কোনভাবে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

কালিগঞ্জে ১৩৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  শিক্ষার্থী রয়েছে  ২৫হাজার ৭৬৬জন। এর ভিতরে ৭হাজার ২২৫জন শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন থাকলেও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকাই মাত্র ৪হাজার ৮১৭জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে জড়িত। আর টিভিতে ৬হাজার ৯১৭জন, রেডিওতে ১হাজার ৬০০জন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ৮হাজার ৬৪৮জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ৩হাজার ৭৮৪ জন শিক্ষার্থীকে কোনভাবে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আশাশুনিতে ১৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  শিক্ষার্থী রয়েছে  ৩১হাজার ৩৫৯জন। এর ভিতরে ৯হাজার ৭১৫জন শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন থাকলেও প্রযুক্তিগত ধারণা থাকাই মাত্র ৮হাজার ৬০০জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে জড়িত। আর টিভিতে ৪হাজার ১০২জন, রেডিওতে ৩২৫জন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ৮হাজার ৩২জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও ১০হাজার ৩০০জন শিক্ষার্থীকে কোনভাবে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

জেলার সাতটি উপজেলায় ১০৯৫টি সরকারী বিদ্যালয়ে সবমিলিয়ে পড়াশুনা করে ১লক্ষ ৯৯হাজার ৮৮৬জন শিক্ষার্থী। এসকল শিক্ষার্থীদের বিপরীতে ৫৬হাজার ৭৫১জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের স্মার্টফোন রয়েছে। ৫৬হাজার ৭৫১জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের স্মার্টফোন থাকলেও এর ভিতরে প্রযুক্তিগত সঠিক ধারণা না থাকাই ২৮হাজার ৮১৬জন শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। আর ২৭হাজার ৯২৫জন শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাসের আওতায় থাকলেও নের্টওয়াক জনিত সমস্যা, আর্থিক সংকটের কারনে নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস করতে পারেনা। অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি টিভির মাধ্যমে ৩৪হাজার ৮২৩ জন, রেডিও মুঠোফোনের মাধ্যমে ১৫হাজার ৯৬৩জন, আর মোবাইলের মাধ্যমে ৫৮হাজার ৪৯০ জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলেও  ৬২হাজার ৬৮৫জন শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনপ্রকার ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষাদান নিশ্চিত করতে হলে প্রযুক্তি সুবিধা সহজলভ্য করতে হবে। সুবিধা সবার কাছে যেন পৌঁছায় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থী ঝরে পরার সংখ্যা বাড়ছে এবং দিন এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। করোনা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পিছিয়ে দিয়েছে। মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাল্যবিয়ের শিকার হতে হচ্ছে এবং অনেক পরিবারের শিশু যারা দরিদ্র বা চাকরি বা কাজ হারিয়ে দারিদ্রতার শিকার হয়েছে তারা কাজের পথ বেছে নিচ্ছে। অথচ ঝরে পরা রোধ করা আমাদের টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম লক্ষ্য থাকলে প্রযুক্তিগত জ্ঞান না থাকা ও দারিদ্রতার কারনে বর্তমানে  শিক্ষার বৈষম্য প্রবল হচ্ছে। কারণ আধুনিক ডিভাইস যার আছে সে ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে আর যার সেটা নেই সে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। যে অংশ নিতে পারছে না তার মধ্যে সাময়িকভাবে হলেও এক ধরনের হতাশা অনুভূত হচ্ছে এবং এর জন্য প্রধানত দারিদ্রতাই দায়ী।

সাতক্ষীরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিসার (ডিপিইও) মোহাম্মদ রুহুল  আমীন বলেন, জেলার ১০৯৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৬৩০৯ জন শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৯ হাজার, ৮৮৬জন। এসকল শিক্ষার্থীদের মাঝে শতভাগ ওয়ার্কসিট বিতরণ সম্ভব হলেও প্রযুক্তির শিক্ষায় শতভাত শিক্ষার্থীকে অংশগ্রহণ করানো সম্ভব হচ্ছে না।

কারণ হিসেবে তিনি জানান, জেলার অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এর ভিতরে যারা একটু সামর্থ্যবান তাদের অনেকের পরিবারের প্রযুক্তি সমন্ধে সঠিক ধারণা নেই। আবার যাদের ধারণা আছে তারা তাদের সন্তানকে অনলাইন ক্লাসের আওতায় আনলেও নের্টওয়াক জনিত সমস্যার কারনে অনলাইনে ক্লাসে অংশ গ্রহণ করতে পারেন না। তবে জেলার কোন বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী যেনো ঝরে না যায় সেকারনে শতভাগ শিক্ষার্থীর মাঝে ধারাবাহিক ভাবে ওয়ার্কসিট বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও অফলাইনে কল, বা হোমভিজিটের মাধ্যমে সকল বাচ্চাকে পাঠদান করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে।

তিনি আরো জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া ১৬ সপ্তাহের ওয়ার্কসিট বিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হলে এর মধ্যে  ৯সপ্তাহের ওয়ার্কসিট বিতরণ করা হয়েছে। বাসায় বাসায় যেয়ে ওয়ার্কসিট বিতরণ শেষে শিক্ষকরা পুনরায় সেটি সংগ্রহ করেন। সপ্তাহ প্রতি দেওয়া ওয়ার্কসিট মূল্যায়িত করে স্বস্ব শিক্ষার্থী পর্যায়ে ডাটাবেজ তৈরী করা হচ্ছে। যদি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় এবং বার্ষিক পরীক্ষা না হলে, অনলাইন, টিভি  রেডিও, মুঠোফোনের মাধ্যমে যে ক্লাস নেওয়া হয়েছে এবং ওয়ার্কসিট মূল্যায়িত করে শিক্ষার্থীদের তৈরীকৃত ডাটাবেজ প্রোফাইলের ভিত্তিতে উত্তীর্ণ করা হবে।

By S V

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *