নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ আলিপুরের এতিম, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিয়া খাতুনের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়ার পর এবার তার চলাফেরার জন্য উন্নতমানের হুইলচেয়ার দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আসাদুজ্জামান বাবু।
সোমবার সকালে সাজিয়া খাতুনের বাসায় যেয়ে তার চলাচলের জন্য এ হুইলচেয়ার তুলে দেন তিনি । এসময় সেচ্ছাসেবকলীগের গাজী বিপ্লব, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ-সম্পাদক সুমন হোসেন, সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, সাতক্ষীরা সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি নাজমুল শাহাদাৎ জাকির, প্রদীপ্ত প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আতিকুজ্জামানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জন্মগত ভাবে সাজিয়া খাতুন প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করায় তার মা শরিফা খাতুনের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে চলে যান পিতা আব্দুস সবুর। সেই থেকে নানা শামছুল আলমের বাড়ি থেকে পড়াশুনা করতে থাকেন সাজিয়া খাতুন। তবে সাজিয়া খাতুন ছোটবেলা থেকে পড়ালেখায় প্রচুর মেধাবী হওয়ায় তার লেখাপড়ার কথা ভেবে অন্যত্র বিয়ে করেননি মা শরিফা খাতুন। দারিদ্রতার কাছে হার মেনে সাজিয়া খাতুনকে সু-চিকিৎসা সেবা দিতে পারেননি। তবে অভাব-অনটনের সাথে যুদ্ধ করে উপজেলার আলিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এস,এস,সি পাশ করেন সাজিয়া খাতুন। তবে অভাব অনটনের সংসারে ভর্তির টাকা জোগার করতে পারেননি পরিবারটি। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবগত করলে তিনি প্রতিবন্ধী সাজিয়ার পড়াশুনাসহ তার চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এবিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, মেধাবী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী সাজিয়া খাতুনের বাবা থেকেও নাই। খুব দারিদ্রতার মাঝে তার বেড়ে ওঠা। মেয়েটি অত্যন্ত মেধাবী। অর্থ-অভাবে যেনো তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে না যায় সেকারনে যতোদিন তার লেখাপড়া শেষ না হবে ততোদিন তাকে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করা বলে। আজ তার চলাফেরার জন্য একটি হুইল চেয়ার দিয়েছি এবং সাজিয়া খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।