নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন বড়কাশিপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম শেখের ছেলে ও খলিশখালী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক বেল্লাল হোসেন বিলু।
নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বিলু বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মালামাল নিয়ে টাকার বদলে তাদের হাতে ধরিয়ে দেন ব্যাংকের ব্লাঙ্ক চেক। আর সেই ব্লাঙ্ক চেক নিয়ে টাকা তুলতে যেয়ে দেখেন একাউন্টে টাকা নেই। ফলে হতাশ হয়ে ফিরে আসেন অনেকেই। ইতিমধ্যে বিলুর নামে একাধিক মামলা হয়েছে।
গত রোববার বিলুর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির আরো একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন সাতক্ষীরা পৌরসভার কাটিয়া সরকার পাড়া এলাকার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আব্দুস সালামের ছেলে মোঃ মাসুদ।
মাসুদ বলেন, আমার কাছ থেকে মৎস্য ঘের ও পুকুরের মাছের খাদ্য ক্রয় করেন বেল্লাল হোসেন বিলু। টাকার পরিবর্তে তিনি সোনালী ব্যাংক, খলিশখালী শাখার একলক্ষ তেষট্টি হাজার টাকার চেক প্রদান করেন তিনি। তবে তার একাউন্টে টাকা না থাকায় চেক ডিজঅনার হয়। আমি তাকে বিষয়টি জানালে তিনি ওই ব্যাপারে কোন কর্ণপাত করেননি। আমি নিরুপায় হয়ে তাকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করি। তারপরও তিনি টাকা প্রদান করেননি। ফলে আমি গত রোববার এন, আই, এ্যাক্ট এর ১৩৮ ধারায় সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা করেছি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বেল্লাল হোসেন বিলু জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের একজন সক্রিয় সদস্য । তার নামে পাটকেলঘাটা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি নিজেকে মেসার্স রহমান ফার্ম এর স্বত্ত্বাধিকারী পরিচয় দিয়ে টাকা না দিয়ে ব্লাঙ্ক চেক দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা । তিনি ইসলামী ব্যাংক, সাতক্ষীরা শাখা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ করেননি। ইতিমধ্যে ইসলামি ব্যাংকের পক্ষে ইমদাদুল হক বাদী হয়ে কোর্টে বিলুর বিরুদ্ধে এন, আই, এ্যাক্ট এর ১৩৮ ধারায় মামলা করেছেন।
এসকল ঘটনায় প্রতারক বেল্লাল হোসেন বিলুর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসীসহ ক্ষতিগ্রস্থরা।