Spread the love
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার দেবহাটায় নির্মল কুমার মন্ডল (৪২) নামের এক ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে জখম করেছেন সখিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন। মারপিটের শিকার নির্মল মন্ডল কামটা গ্রামের কানাই লাল মন্ডলের ছেলে।
তিনি সখিপুরের ৬নং ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত ইউপি সদস্যের পাশাপাশি একাধারে দেবহাটা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক, উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত।
বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ঈদগাহ বাজারে অবস্থানকালে ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতনসহ তার লোকজন মিলে ইউপি সদস্য সাংবাদিক নির্মল কুমার মন্ডলকে পিটিয়ে জখম করেন।
হামলা ও মারপিটের শিকার নির্মল কুমার মন্ডল জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতনের নানা দূর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করে আসছিলাম। এতে করে তিনি পূর্ব থেকে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়।
উপজেলার অন্যতম জনগুরুত্বপূর্ন ঈদগাহ বাজারটি আমার নির্বাচিত এলাকার আওতাধীন হওয়ায় নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা মোতাবেক করোনা সংক্রমন হ্রাসে ঈদগাহ বাজারে প্রশাসন নির্ধারিত সময় মেতাবেক লকডাউন বাস্তবায়নে জরুরী সেবা ব্যাতীত অন্যান্য দোকানপাট বন্ধের কথা বলি।
আমি দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলেছি কথাটি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন তার ঘনিষ্ট কিছু দোকানদারের কাছ থেকে জেনে পূর্ব বিরোধে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমার উপর আরো বেশি ক্ষুদ্ধ হন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগমুহুর্তে ঈদগাহ বাজারে তাহেরা ফার্মেসির সামনে অবস্থানকালে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন সহ তার পোষ্য সাঙ্গপাঙ্গরা অতর্কিত আমার ওপর হামলা চালিয়ে আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে।
পরে বিষয়টি আমি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, জেলা কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ ও জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দদের অবহিত করি। এব্যপারে উল্লেখিত নেতৃবৃন্দদের পরামর্শে থানায় অভিযোগ দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাছলিমা আক্তার বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। নির্মল মন্ডল আমার নির্দেশনায় করোনা প্রতিরোধে কাজ করছিলেন। তবে এধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা কেন ঘটলো সেটি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের কাছে জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব।
দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, এঘটনায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *