Spread the love

দেবহাটা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার দেবহাটায় চাঞ্চল্যকর জুয়েল হত্যাকান্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার নিহতের অতি ঘনিষ্ট সঙ্গী ইমরোজ আলী ওরফে চোর ইমরোজের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত ইমরোজ চোর কোঁড়া পাকড়াতলা এলাকার ইসহাক গাজীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে ২০০৭ ও ২০১৮ সালে দুটি চুরির মামলা (জিআর-৯৮/০৭ এবং ৬/১১০) রয়েছে। বর্তমানে জুয়েল হত্যার সন্দেহ ভাজন আসামী হিসেবে ইমরোজ চোর কারাগারে রয়েছে।

গত বুধবার (২জুন) রাত সোয়া ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে দেবহাটা থানা থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে নিজের বাড়ীতে দূর্বৃত্তদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন মৃত আনিছুর রহমানের ছেলে আশিক হাসান জুয়েল (৩২)।

এঘটনায় নিহত জুয়েলের বড়ভাই আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান রাজু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামী করে দেবহাটা থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-০১) দায়ের করেন।

মামলাটির ইনভেষ্টিগেশন অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ আহমেদ বলেন, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডটির মোটিভ উদঘাটনে দিনরাত কাজ করছে পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, হত্যাকান্ডের শিকার জুয়েলের মোবাইল কললিস্ট অনুসরণসহ আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ অ্যানালাইসিস, হত্যার স্থান ও উদ্ধারকৃত আলামত বিশ্লেষন, নিহতের পরিবারের সদস্য ও সন্দেহভাজন ব্যাক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। নিহতের ঘনিষ্ট সঙ্গীদের মধ্যে ইমরোজ ছিল অন্যতম। এমনকি জুয়েলের বসতভিটাসহ একধিক আম বাগানের আম এবছর বিক্রির জন্য ঢাকায় পাঠানোর কাজেও নিয়োজিত ছিল ইমরোজ।

এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিছুদিন আগে জুয়েলে সাথে তার গোলযোগও হয়। তাছাড়া একাধিক মামলা থাকা ইমরোজ একজন চিহ্নিত চোর ও দূর্ঘর্ষ প্রকৃতির লোক। এলাকায় বহু চুরি, ছিনতাইসহ ইতোপূর্বে একাধিক মানুষকে হাতুড়ি পেটার অভিযোগও পাওয়া গেছে ইমরোজের বিরুদ্ধে।

জুয়েলের কললিস্ট বিশ্লেষন করে ইমরোজ সহ সন্দেহভাজন বেশ কয়েক জনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইমরোজের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় শুক্রবার তাকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আরো জিজ্ঞাসাবাদের ইমরোজের ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।

এব্যাপারে বুধবার রিমান্ড আবেদনের শুনানীতে সিদ্ধান্ত দিবে আদালত। এছাড়া অন্যদের কথাবার্তা ও আচরন স্বাভাবিক মনে হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *