Spread the love

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: ৮ বছরের এক মেয়েকে নিয়ে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে চলে গেছে গৃহবধূ মুক্তা খাতুন(২৫)। এদিকে স্ত্রী ও আদরের সন্তানকে খুঁজে পেতে গত ৩ দিন ধরে পাগলের মতো এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্বামী নুরুল ইসলাম।

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন কুমিরা গ্রামের মৃত এজাহার আলী সরদারের ছেলে নুরুল ইসলাম বলেন, ১০ বছর আগে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পাটকেলঘাটা থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে মুক্তা খাতুনের সাথে আমার বিবাহ হয়। বিয়ের ২ বছর পর আমাদের একটি মেয়ে হয়। এর কিছুদিন পর আমার একটি চাকুরি হলে আমি কিছুদিন বাইরে ছিলাম। ওই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমার স্ত্রী প্রতিবেশী চায়ের দোকানদার সোহরাব উদ্দীন সরদারের ছেলে আলতাফ হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা শুরু করে। এরপর থেকে তারা পরকিয়ায় জড়িয়ে যায় বলে আমার পরিবারের সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা আমাকে বলে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার পরিবার ও আলতাফের পরিবারের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আলতাফেরও স্ত্রী ও ছোট বাচ্চা থাকায় আমি বিভিন্নভাবে তাকে ফেরোনোর চেষ্টা করি।

ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার(৩০ মে) ভোরে আমার স্ত্রী মুক্তা খাতুন আমাকে ঘরের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে ছিটকানি দিয়ে মেয়েকে নিয়ে আলতাফের সাথে চলে যায়। সকালে আমি তাদের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। পরে এক প্রতিবেশী আমাকে বলে ভোরে আলতাফকে তোদের বাড়ির ভেতর হতে ব্যাগ বের করে নিয়ে যেতে দেখেছি। এরপর আমি নিশ্চিত হই আমার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে আলতাফের সাথে চলে গেছে। এ ব্যাপারে আমি থানায় একটি হারানো জিডি করেছি। আমার স্ত্রী চলে যাওয়ায় আমার শ্বশুর আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। আমি এখন কোথায় যাবো। আমার বাচ্চাটা আমাকে ছাড়া থাকতে পারে না। আমি ওদের ফেরত চাই।

এদিকে এ ব্যাপারে জানার জন্য আলতাফের বাড়িতে গেলে আলতাফের মা বলেন, নুরুলের বউয়ের সাথে মোবাইলে কথা বলাকে কেন্দ্র করে আমাদের বাড়িতে তুমুল অশান্তি চলছিল। নুরুলের বউ যেদিন চলে গেছে ওই দিন থেকে আমার ছেলেও নিখোঁজ। এই কারনে আমি ধারণা করছি আমার ছেলে ও নুরুলের বউ একসাথে চলে গেছে।

পাটকেলঘাটা থানার এসআই বুলবুল আহমেদ বলেন, স্ত্রী ও সন্তান বাড়ি হতে চলে গেছে এমন অবিযোগে থানায় একটি জিডি হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

By S V

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *